চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মচারী ও বন্দিদের জন্য জীবাণুনাশক চেম্বারসহ সুরক্ষা সামগ্রী দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সোমবার কারা কর্মকর্তাদের হাতে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এসব উপকরণ হস্তান্তর করা হয়।
এসময় কারা কর্মকর্তারা উপমন্ত্রীকে জানান, মুক্তির জন্য সরকারি তালিকায় থাকা বন্দিদের মধ্যে কেউ জরিমানার টাকা শোধ করতে না পারলে অনাদায়ী সাজা ভোগের কারণে মুক্তি পাবেন না।
তখন দরিদ্র বন্দিদের জরিমানার টাকা শোধ করতে সিনিয়র জেল সুপারকে এক লাখ টাকা দেন নওফেল।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. কামাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডিসইনফেকশন চেম্বারসহ নিরাপত্তা সামগ্রি হস্তান্তর করতে শিক্ষা উপমন্ত্রী এসেছিলেন। মূল ফটকের কাছে তিনি সেগুলো হস্তান্তর করেন। এসময় বন্দিদের বিষয়টি উনার নজরে আনি।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের কারাগারগুলো থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক বন্দিকে মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
গরিব বন্দিদের জরিমানার অর্থ দিতে উপমন্ত্রী এক লাখ টাকা দিয়েছেন জানিয়ে কারা কর্মকর্তা কামাল বলেন, “এই সহায়তার কারণে গরিব ও অসহায় বন্দিরা জরিমানা অনাদায়ে সাজা ভোগ না করেই দ্রুত পরিবারের মাঝে ফিরে যেতে পারবেন।”
এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এক হাজার ফেস মাস্ক, তিনটি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার, দুটি স্প্রে মেশিন ও ১৫টি পিপিই হস্তান্তর করা হয়।
এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কারা উপ-মহাপরিদর্শক এ কে এম ফজলুল হক, কারাগার সরকারি চিকিৎসক ডা. শামীম রেজা ও ডা. তুষার কান্তি নাথ, বেসরকারি কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান ও ইয়াসিন আরাফাত উপস্থিত ছিলেন।