প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পবিত্র রমজান মাস এবার একটু ভিন্নভাবে পালন হচ্ছে। কেন এভাবে পালিত হচ্ছে তা আপনারা সবাই জানেন। করোনাভাইরাস আমাদের মাঝে মহাবিপর্যয় হিসেবে এসেছে।
পবিত্র রমজান মাসে আপনারা আমার শহীদ বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া করবেন। আমি দেশবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সোমবার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে শুরু হওয়া এই ভিডিও কনফারেন্সে সূচনা বক্তব্যে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
জেলাগুলো হলো- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করছেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করছে।
করোনাভাইরাস, ত্রাণ বিতরণ ও বোরো ধানের অবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক, মেডিকেল সার্জন, পুলিশ কর্মকর্তা, সেনা সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মসজিদের ইমাম, নার্স, শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে রংপুর বিভাগ একসময় মঙ্গাপীড়িত এলাকা ছিল, সেই রংপুর বিভাগ এখন সবুজে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেকটা জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। সে ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, করোনা চলা অবস্থায় দেশের অর্থনীতির চাকা যেন সুরক্ষিত থাকে মানুষকে একেবারে ঘরে বন্দি না করে সীমিত অবস্থায় জরুরি কিছু কিছু কাজ চলতে হবে। যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। ঈদের আগে যদিও আমরা বড় জমায়েত করি এবার সে জমায়েত করা যাবে না। সবাই যার যার মতো দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ছয় দফা পৃথক ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৬টি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সংকট উত্তোরণের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজেরও ঘোষণা দেন
Discussion about this post