বৃহস্পতিবার (৭ মে) দিনভর ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালায় আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান। এসময় বিপুল পরিমানে নকল ও অননুমোদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, নকল পিপিই, হেক্সিসল জব্দ করা হয়। ফার্মেসী গুলোতে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল পাওয়া যায়। বিভিন্ন অননুমোদিত ঔষধ, লাইসেন্স না থাকা বা লাইসেন্স এর মেয়াদ
না থাকা, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ফ্রিজে ঔষধ সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা থাকলেও তা না মেনে খোলা আলমারীর তাকে রাখা হয়৷ অননুমোদিত যৌন উত্তেজক ঔষধ রাখা ও মেয়াদহীন ঔষধ বিক্রি করার অপরাধ আমলে নিয়ে ৯ টি পাইকারী ও খুচরা ফার্মেসীকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত এসব ফার্মেসির কোনটি লাইসেন্স ছাড়া আবার কোনটি মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান বলেন, যাদের জরিমানা করা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেক অনিয়ম ধরা পড়ে। যার কারণে ৯ ফার্মেসিকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম নগরীর খাতুনগঞ্জ এলাকার আল্লাহর দান মশলা স্টোরকে মূল্য তালিকা না থাকার অপরাধে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। সরকারী আদেশ অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনা করার অপরাধে ৫ টি প্রতিষ্ঠানকে ৪২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে, ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন নগরীর বন্দর, ইপিজেড,পতেংগা,পাহাড়তলী এবং আকবর শাহ এলাকায় মূল্য তালিকা না থাকায় চারটি মুদি দোকানকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করেন ও ১ জন মাইক্রো চালককে সামাজিক দুরত্ব না মেনে যাত্রী পরিবহন করায় ১০০০ টাকা জরিমানা করেন। তিনি ৫টি মামলায় ৬০০০ টাকা জরিমানা করেন।
ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন চাঁন্দগাও, চকবাজার, খুলশী, বায়েজিদ,পাঁচলাইশের বিভিন্ন এলাকায় বাজার মনিটরিং করেন। আতুরার ডিপো এলাকায় একটি সেলুন খোলা থাকায় ১০০০ টাকা জরিমানা করেন। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে মানুষজনকে সচেতন করেন। মাস্ক এবং হেলমেট না থাকায় ২ জনকে ৯০০ টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান নিয়মিত চলবে বলে জানানো হয় জেলা প্রশাসন থেকে