মুক্তখবর24.কমঃ আমিনুল হক শাহীন, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের ইসমাইল সুকানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল অব¯’া। আজ প্রায় ৫ বছর যাবৎ জরাজীর্ণ এ ভবনে চলছে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান। ভবনটির বিভিন্ন ¯’ানে ফাটল, সিঁড়ি ভাঙ্গা, উপরের ফাটল থেকে বড় বড় খন্ড আস্তর ভেঙ্গে পড়ছে। ভবনের ছাদ চুয়ে পড়ছে পানি। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনা। তারমধ্যে সারা বছর ক্লাস করতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। ১৯৯৫ ইং সালে দ্বিতল ভবন এ স্কুলটি নির্মাণ করা হলেও দীর্ঘ ২৪ বৎসরে তেমন কোন সংস্কার করা হয়নি। এক কথায় ধুকে ধুকে চলছে স্কুলটির কার্যক্রম। বর্তমানে বিদ্যালয়টির ২৬০ জন শিক্ষার্থী অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে তাদের পাঠদান কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। স্কুলটিতে ইতোপূর্বে ভবনটির ছাদের আস্তরের খন্ড পড়ে বেশ কয়েক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতো গেল স্কুলটির ভিতরের দৃশ্য। বাহিরের দৃশ্য আরো করুনÑ স্কুলটির সামনে বছরে বারো মাস হাঁটু পরিমান জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকে। স্কুল প্রবেশের প্রধান সড়কটির নাজুক অব¯’া। ১৬০ ফুটের এ সড়কটি কখন সংস্কার করা হয়েছে তা জানা নেই। বৃষ্টি হলেই হাঁটু ও কোমর পরিমান পানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয় ছাত্র/ছাত্রীদের। উল্লেখ্য, এলাকাটি গার্মেন্টস্ অধ্যুষিত হওয়ায় এখানে স্বল্প আয়ের শ্রমজীবি মানুষের ছেলেমেয়েরাই পড়াশোনা করেন। কিš‘ অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, নগরায়নের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও স্কুলটিতে লাগেনি কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া। কথাগুলি বলছিলেন আক্ষেপ নিয়ে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রহিমা বেগম। এ বিষয়ে ইসমাইল সুকানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র পাল বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে স্কুলটি সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তারা স্কুলটির ভবন ভেঙ্গে পূর্ণাঙ্গরূপে ভবন নির্মাণ করার আশ্বাস প্রদান করেন। তবে কবে নাগাদ এ সংস্কার কাজ করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারেনি স্কুলটির প্রধান শিক্ষক। সহকারী শিক্ষিকা মাহবুবা বেগম জানান, ১৯৯৭ ইং সন থেকে এ স্কুলে শিক্ষকতা করছি, আমাদের এ স্কুলে প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষার্থী ছিল, কিš‘ স্কুলটির ভগ্নদশা হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থী কমতে থাকে। জরাজীর্ণ ভবনের কারণে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও আহত হন। স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর হাজী আসলাম বলেন; স্কুলটির এ বেহাল দশার কথা আমাদের জানা আছে। তবে সংস্কারের জন্য প্রতিশ্রæতি দেয়া হ”েছ, কিš‘ তা বাস্তবায়ন কবে হবে তা অজানা রয়েছে। তবে স্কুলটির প্রধান সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রæত বাস্তবায়নের দাবী জানান তিনি। তিনি আরো বলেন; বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। সরকার প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে যুগোপযোগী নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। অভিভাবক কমিটির সভাপতি মোঃ কাঞ্চন মোল্লা বলেন; বছরের ৬ মাস স্কুলটির চারপাশ জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকে। স্কুল ভবনটিরও করুন অব¯’া। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে ক্লাস করছে, যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। আমাদের ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারছে না এবং বিদ্যালয়টির পরিবেশ ঠিক না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হ”েছ না। তবে তিনি বলেন, ¯’ানীয় সাংসদ এম.এ লতিফ মহোদয়ের পক্ষ থেকেও স্কুলটি পরিদর্শন করা হয়েছে তিনিও সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।
Discussion about this post