প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলেছে, নারীর ভাগ্যোন্নয়নে তিনি প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশকে একটি ‘গতিশীল উদ্যোক্তা সমাজ’ বলে আখ্যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, দেশটির সামাজিক সূচক সত্যিকারের সফলতার গল্প। গত এক দশকে বাংলাদেশ চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
বুধবার বিশেষ এক টেলিফোন ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস এসব কথা বলেন। তিনি জানান, গত তিন বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে তাৎপর্যপূূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটে উদারভাবে সাড়া দেওয়ায় প্রশংসিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে ঢাকা।
ওয়েলস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য এককভাবে সবচেয়ে বড় সাহায্যদাতা দেশ। বাংলাদেশ শুধু রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেনি।
বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা গভীরতর হয়েছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও সরকার পরিচালনা ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
ওয়েলস বলেন, কভিড-১৯ রোগের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ওপর প্রভাব পড়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারক ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়েলস বলেন, অনেক কোম্পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনার জন্য চীন থেকে উৎপাদন ব্যবস্থা সরিয়ে নিতে পারে। এটা বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করতে পারে।
Discussion about this post