রাজস্ব খাতভুক্ত বৃত্তি প্রাপ্ত (মেধা ও সাধারণ) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির অর্থ ‘ব্যাংক অ্যাকাউন্টে’ প্রেরণ করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ এবং ভুল সংশােধন ও নতুন শিক্ষার্থীর তথ্য সংযােজনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২২ মে) রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। আগামী ৫ জুনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মেডিকেল, প্রকৌশল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ নির্দেশ দেয় মাউশি।
এতে বলা হয়, মাউশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মােতাবেক ২০১৯-২০২০ অর্থ বছর থেকে রাজস্ব খাতভুক্ত সব ধরনের বৃত্তির অর্থ G2P পদ্ধতিতে অনলাইনে EFT এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করা হবে।
এ লক্ষ্যে ইতােপূর্বে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকায় সঠিক ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যাংক ও শাখার তথ্যসহ বিভিন্ন ধরনের ভুল পরিলক্ষিত হয়। বর্ণিত ভুলের কারণে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অর্থ G2P (EFT) পদ্ধতিতে প্রেরণে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
এ সমস্যা দূর করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধন করার সুযোগ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। আগামী ৫ জুনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধন করে তালিকা শিক্ষা অধিদফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলগুলোকে।
প্রিন্ট করা সংশোধিত তালিকা প্রতিষ্ঠান প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সিল নিয়ে তার সফটকপি ই-মেইলে (dshe.stupend.fl@gmail.com) পাঠাতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতিষ্ঠান প্রধানের পাঠানো তালিকা অনুসারে বৃত্তির টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাই ভুল বা ত্রুটিপূর্ণ তথ্যের জন্য কোনো শিক্ষার্থী বৃত্তির টাকা পেতে দেরি হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।
এছাড়া পাঠ বিরতিতে থাকা এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো যাবে না। স্বাক্ষর ও সিল ছাড়া তালিকা পাঠানো হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে
এছাড়া কারিগরি সহায়তার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের টেকনিক্যাল টিম এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এসপিএফএমএসপি প্রকল্পের টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানের।