কোভিড মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলেও এখনো ভাইরাসের পেছনেই হাঁটছে বাংলাদেশ। আর এ অবস্থার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে কালক্ষেপণ এবং বাস্তবায়নে তদারকির অভাবকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, অভাব আছে নেতৃত্বের। দরকার সমন্বয় নিশ্চিত করা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় লাগলেও তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনে আরো কঠোর হবে সরকার।
অবশেষে কোভিড মোকাবিলায় এলাকাভিত্তিক পরিকল্পনার কথা ভাবছে সরকার। সে অনুসারে রেড, গ্রিন, ইয়েলো এই তিন জোনে ভাগ করে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
অথচ রোগীর সংখ্যা যখন হাজারের নিচে তখনই এমন পরিকল্পনার কথা বলে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাই তারা বলছেন, সিদ্ধান্ত সঠিক হলেও সময় মতো ট্রেন ধরতে পারেনি বাংলাদেশ।
অধ্যাপক বে-নজীর আহমেদ বলেন, আমরা যদি আইশোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন থেকে শুরু করে ল্যাবরেটরি টেস্টের কথা চিন্তা করি, আমরা দেখছি সব কাজ পরে করা হচ্ছে। সময়ের সামনে যদি হাটতে পারতাম তাহলে এই লকডাউনের সফলভাবে ইতি টানতে পারতাম।
ডা. মোহাম্মদ জাকের উল্লাহ বলেন, লকডাউন খোলার আগে পরিকল্পনা না করে পরে যদি পরিকল্পনা করা হয় তাহলে সংক্রমণের হার অনেক বেশি বেড়ে যায়। দেখতে পাচ্ছি করোনা আমাদের আগে হাঁটছে, অথচ আমাদের হাটতে হবে করোনার আগে।
তবে এখনো ফুরিয়ে যায়নি সময়। পরিকল্পনা কাগজ থেকে দ্রুত বাস্তবায়নে রূপ দেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন তারা। নিশ্চিত করতে হবে দক্ষ মনিটরিং টিমও।
এরমধ্যেই স্বাস্থ্য বিভাগ একটি ভাল পরিকল্পনা করতে পারতো। কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি অনুসারে ব্যবস্থা নেবেন তারা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, যখন সংক্রমণের পর্যায় ছিল অল্প তখন সরকার একপেক্ষী ব্যবস্থা নিয়েছে। আর এখন যখন নেগেটিভলি বেড়েছে সেক্ষেত্রে কেউ নির্দেশনা না মানলে কঠোর তো হতেই হবে।
সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সহায়তাও জরুরি। সময় টিভি।
Discussion about this post