করোনা প্রতিরোধে চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত সোমবার বিকাল ৪টায় করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের নতুন নির্দেশনার পর সংক্রমন ঠেকাতে বন্দর থানাধীন কলসি দিঘির বেপজা পকেট গেইট রাস্তা থেকে ৩০০-৪০০ অবৈধ দোকানসমুহ সরিয়ে দিয়েছে বলে জানা যায় পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায় প্রায় দেড় লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিকদের যাতায়াতের পথে বাঁধা সৃষ্টিকারী অবৈধভাবে গড়ে উঠা এ সমস্ত দোকানসমুহ সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ বেশ কয়েকবার গার্মেণ্টস শ্রমিকদের আসা-যাওয়ার পথ থেকে অবৈধ দোকানগুলো সরাতে এবং বিকাল ৪টায় দোকান বন্ধ করার জন্য প্রতিনিয়ত বলে আসলেও পুলিশ এলে সরে যায়, পুলিশ গেলে যেই লাউ সেই কদু।
তাই সংক্রমন ও গার্মেণ্টস কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এলাকাবাসী ও গার্মেন্টস কর্মীদের সহযোগিতায় মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি নাসির উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স সহ নিয়ে এ সমস্ত অবৈধ দোকান সরিয়ে দেওয়াতে সাধারণ জনগন ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের মাঝে কিছু স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
দীর্ঘদিন যাবৎ কলসী দিঘি বেপজা পকেট গেইট গার্মেণ্টস শ্রমিকদের চলাচলের রাস্তায় স্থানীয় ও বহিরাগত কিছু বখাটে যুবক কিশোর গ্যাং তৈরী করে সরকারী জায়গায় অবৈধ দোকান বসিয়ে প্রতিনিয়ত চাঁদা আদায় করে আসছে এবং রাস্তায় আড্ডা বসিয়ে শ্রমিকদের যাওয়া-আসার পথে ইভটিজিং সহ এলাকায়
বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত আছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। সিইপিজেড ৭ নংরোডের ইয়ংওয়ানের গার্মেন্টস কর্মী সেলিনা আক্তার জানায় কলসি
দিঘি পাড়, রেলবিটের রাস্তার মাঝখানে সরকারী জায়গায় এ সমস্ত অবৈধ দোকানের কারণে আমরা শ্রমিকরা প্রতিদিন গাদাগাদি করে
কর্মস্থরে যাওয়া আসা করতে হয়। এই মহামারীতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে চেষ্টা করলেও তা বাধ্য হয়ে মানতে পারছি না। তা ছাড়া রাতে অফিস ছুটির পর দোকানে বসে থাকা উৎশৃঙ্খল ও বখাটেদের বিভিন্ন রকমের ভাষায় টিটকারি সহ ইচ্ছা করে গায়ের সাথে ধাক্কা দেওয়ার মত ঘটনাও অহরহ, যা আমরা ভয়ে এবং লজ্জায় বলতে পারি না।
আরেক গার্মেণ্টস কর্মী নাজমা আক্তার জানায় এই অবৈধ দোকান গুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর আমরা গার্মেণ্টস শ্রমিকরা অতি সহজে সঠিক সময়ে কর্মস্থলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাওয়া আসা কিছুটা হলেও করতে
পারছি।
এই ব্যাপারে কথা বলতে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমাদের ডিসি হামিদুল স্যার মহোদয় ও ওসি স্যারের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে
গনসচেতনতা ও সর্তকতা সহ বিকাল ৪টার মধ্যে দোকানসমুহ বন্ধ রাখা এবং সিইপিজেড গার্মেণ্টস শ্রমিকদের যাতে ছুটির পর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সামাজিক দূরত্ব মাথায় রেখে বাসা-বাড়িতে ফিরতে পারে তার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা করা।
এ ছাড়াও করোনা শুরু হওয়ার পর থেকেই আমাদের মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ি ডিসি ও ওসি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ জনগণের মাঝে করোনা সংক্রমন সংক্রান্তে হ্যান্ড মাইক দিয়ে গনসচেতনতা সহ মসজিদ, মন্দিরে গিয়ে সচেতন করে আসছি প্রতিনিয়ত
Discussion about this post