চটপটি-ফুচকা খেয়ে স্কুলের ৩০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

কুমিল্লায় ভ্রাম্যমাণ দোকানের চটপটি-ফুচকা খেয়ে একটি স্কুলের ৩০ জন শিক্ষার্থী অ’সুস্থ হয়ে পড়েছে। শনিবার জে’লার লালমাই উপজে’লার শাকেরা আর এ উচ্চ বিদ্যালয়ের এ ঘটনা ঘটে। অ’সুস্থদের অধিকাংশই ছাত্রী। অ’সুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের পার্শ্ববর্তী লাকসাম উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিকেলে তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় দুুপুরে চার চটপটি দোকানদারকে আ’টক করেছে পুলিশ। এরা হলেন লালমাই উপজে’লার জালগাঁও গ্রামের মৃ’ত রুস্তম আলীর ছেলে আবুল হাসেম (৪০), সদর দক্ষিণ উপজে’লার কলোমিয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আব্দুল হক (৩০), মনোহরগঞ্জ উপজে’লার পোমগাঁও গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৫) ও কুমিল্লা থানার দুলাল মিয়ার ছেলে রাব্বি (২০)।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে স্কুলের সামনে বসা ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চটপটি-ফুচকা খায় শিক্ষার্থীরা। পরে ক্লাস শুরু হওয়ার পর একে একে অ’সুস্থ হতে শুরু করে। এর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির পাঁচজন, সপ্তম শ্রেণির ১৫ জন, ৯ম শ্রেণির দুইজন এবং দশম শ্রেণির আটজন শিক্ষার্থী রয়েছে।

অ’সুস্থ শিক্ষার্থদের প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে লাকসাম উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অ’সুস্থদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিকেলে তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ উল্লাহ বলেন, ‘সকালে হঠাৎ করে কয়েকজন ছাত্রী বমি করতে শুরু করে। একে একে আরও কয়েকজন অ’সুস্থ হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে লাকসাম উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’

লাকসাম উপজে’লা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আলী বলেন, ‘খালি পেটে বাসি খাবার খাওয়ার ফলে এমনটি হতে পারে। অ’সুস্থ শিক্ষার্থীরা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। তারা শিগগিরই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে।

লালমাই উপজে’লা নির্বাহী অফিসার কে এম ইয়াসির আরাফাত বলেন, এ ঘটনায় আ’টক চটপটি দোকানিদের বি’রুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।