শহীদ উল্লাহ্ বাচ্চু ঃ লেখকঃ বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতের সমন্বিত উন্নয়নের মাধ্যমে মুজিব শতবর্ষে সবার জন্য মানসম্মত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রত্যয় এবং “শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ” অঙ্গীকারকে সামনে রেখে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
সরকার ইতোমধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে (ক্যাভটিব এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎসহ) উন্নীত করেছে। দেশের ৯৬% জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে এবং মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫১০ কিলোওয়াট ঘন্টায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে সরকার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন।
মাননীয় অর্থমন্ত্রীর ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতা হিসেবে নিজ জন্মভূমি সুবর্ণচরের বিদ্যুতের হিসাবটা মিলাতে চাই।
সুবর্ণচর উপজেলার লোকসংখ্যা ৩,৫০,০০০ জন হলে বিদ্যুতের ৯৬% সুবিধাভোগী হবে মোট ৩,৩৬,০০০ জন। প্রতি পরিবারে ৫ জন হিসাবে গ্রাহক সংখ্যা হবে কমপক্ষে ৬২,২০০ জন।
আর মাথাপিছু ৫১০ কিলোওয়াট ঘন্টা হলে সুবর্ণচরের সাড়ে তিন লাখ লোকের জন্য সরবরাহ করা উচিত (৫১০*৩,৫০,০০০) –১৭৮৫০০০০০ কিলোওয়াট ঘন্টা। কত মেগাওয়াট??
#প্রশ্ন হল
সুবর্ণচর উপজেলাবাসীর কত শতাংশ বিদ্যুতের সুবিধাভোগী? সরকার এ অবহেলিত জনগণের জন্য কত মেগাওয়াট বা কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে?
নির্ভরযোগ্য সুত্রমতে, ২০১৯ সালে চরজব্বার এরিয়া অফিসের আওতাধীন গ্রাহক সংখ্যা ১৬০০০ এবং সেন্টার বাজার এরিয়া অফিসের আওতাধীন গ্রাহক সংখ্যা ৬০০০ ছিল।
তাহলে মোট সুবর্ণচরের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ২২০০০ জন। প্রতি গ্রাহকের সাথে পাঁচজন সুবিধাভোগী হলে মোট জনসংখ্যা হবে ১,১০,০০০ জন। তাহলে সুবিধাভোগীর হিসাব শতকরা ৩১.৪২ জন। ৭০০ কিলোমিটার নতুন এসটি এবং এলটি লাইন নির্মাণ ও শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ চলছে বলে শুনেছি।
আটকপালিয়া বাজার সংলগ্ন চরজুবিলিতে ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সাব-ষ্টেশন নির্মিত হল কয়েক বছর আগে। ইতোমধ্যে এর পাশে একটি জোনাল অফিস স্থাপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চরবাটা সেন্টার বাজার সংলগ্ন স্থানে একটি সাব-ষ্টেশন নির্মান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
#সুবর্ণচরের জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবীসহ বিজ্ঞমহলের কাছে জনগন জানতে চায়,,, মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মোস্তফা কামাল এর বাজেট বক্তৃতা মোতাবেক সুবর্ণচরের ৯৬% জনগন কি মানসম্মত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে? মাথাপিছু ৫১০ কিলোওয়াট ঘন্টা হিসেবে মোট ১৭৮৫০০০০০ কিলোওয়াট ঘন্টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে?
পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত লোকজন হয়তো ড্রপ আউট ফিউজ কিংবা বৈরী আবহাওয়ার অজুহাত দিয়ে জনরোষ থেকে বাঁচতে চাচ্ছে। সরবরাহ বা উৎপাদন সংকটের কারনে বার বার লোড শেডিং করতে হচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুৎ বিম্ভ্রাটে অতিষ্ঠ জনগণ আর ধৈর্য্য ধরতে অপারগ। সামাজিক মিডিয়াতে কয়েকজনের পোস্ট দেখে তাই মনে হচ্ছে।
“সুবর্ণচরে মিঠু সিন্ডিকেট” থাকলে জনগণ ভেঙে দেবে। কারন জনগণের অধিকার আদায়ে অযোগ্য জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ বা রাজনীতিজীবীদের মোটেও জনগণ সহ্য করছে না।।। সবার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। “শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এ শ্লোগান নিয়ে সুবর্ণচরবাসীর জন্য কাজ করতে হবে রাজনীতিবিদ আর জনপ্রতিনিধিদের।। সকলের বোধোদয় হোক,, এ প্রত্যাশা করি।।।
#সুবর্ণচর_উপজেলায় বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান কল্পে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় সংসদ সদস্য,, নোয়াখালী-৪, মাননীয় চেয়ারম্যান, পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ড, মাননীয় জেলা প্রশাসক, নোয়াখালী এবং সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
