চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন

নাগরিক স্বার্থে নগরীর বর্জ্য অপসারণে গতি ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

রোববার সিটি করপোরেশনের পুরাতন নগর ভবনে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রশাসক বলেন, “চট্টগ্রাম শহর যদিও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কিন্তু এর গুরুত্ব অনেক বেশি। চট্টগ্রাম হল দেশের হৃদপিণ্ড। নাগরিক স্বার্থে নগরের আবর্জনা ও বর্জ্য অপসারণে গতি ফিরিয়ে আনতে হবে।

“চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মূল চালিকা শক্তি দুইটি- একটি পরিচ্ছন্ন ও অন্যটি প্রকৌশল বিভাগ। চলমান বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সম্মিলিত পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করে ভরাট নালা-নর্দমার মাটি, আবর্জনা অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।”

খাল-ছড়া, নালা-নর্দমার ধারণক্ষমতা বাড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।

আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও ফলমণ্ডি পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য লিফলেট বিতরণ, প্রতিটি দোকানে ময়লা রাখার জন্য কালো বস্তা বিতরণ করার কথা জানানো হয় সভায়।

যেসব দোকানদার ময়লা যত্রতত্র ফেলবেন তাদের জরিমানা করার নির্দেশনাও দেয়া হয় সভা থেকে।

খোরশেদ আলম সুজন বলেন, “কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজে আন্তরিকতা, শতভাগ সততা থাকতে হবে। অতীতের কাজের বিষয়ে কিছুই বলার নেই, এখন থেকে সকলকে শতভাগ সততার সাথে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

“যারা ভাল কাজ করবেন তাদের পুরস্কৃত করা হবে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতা ও সততার ঘাটতি পরিলক্ষিত হলে তার পরিণাম ভোগ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকতে হবে।”

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে সভায় করপোরেশনের

সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।