জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর এই বছরে দিনটি হাজির হয়েছে ভিন্ন এক আবহে।
বছরজুড়ে জন্মশতবর্ষের নানা আয়োজনের মধ্যে এই শোক দিবস পালন ঘিরেও ছিল নানা পরিকল্পনা।
কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এবারের শোক দিবসের কর্মসূচি হচ্ছে সীমিত পরিসরে। জাতির পিতার প্রতি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচিও থাকছে না অন্যবারের মতো। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হয়েছে জাতীয় শোক দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর পতেঙ্গা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের চেয়ারম্যন হাজ্বী ইকবাল আলী আকবর প্রতি বছরের ন্যায় এবারও হালিশহর ৩৮ নং ওয়ার্ড হাজ্বী শেখ আব্দুল মালুম জামে মসজিদে ১৫ ই আগস্ট সকল শহীদদের প্রতি ফাতেয়া পাঠ, দোয় ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন।
এই সময় হাজ্বী ইকবাল বলেন১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমণ্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, নাতি সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। তিনি আরও বলেন ৪৫ বছরও রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি ইহ জগতে ও হবে না ।
ঈমানের ব্যারোমিটার নির্ভর করে কোরআন তেলোওয়াত আল্লাহ শুকরিয়া এবং সবরের মধ্যে-
যে ৩টি গুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিকট বিদ্যমান তাই হেরে যাওয়ার ভয় নাই।।।
বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। পরিশেষে সকল শহীদের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের খতিব মৌলানা মোহাম্মদ হাছান
Discussion about this post