এ.এইচ. শাহীন, চট্টগ্রাম : পটিয়া থানার শোভনদন্ডী এলাকার শোসাং এলাকা থেকে হারাধন চৌধুরী (৬৫) নামে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। তিনি ঐ এলাকার দেবেন্দ্র লাল চৌধুরী পুত্র।
গত ২৯ আগষ্ট শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় পটিয়া থানার শোভনদন্ডী এলাকার একটি খাল থেকে মৃত ঐ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। তার পরিবার জানায় কৃষক হারাধন প্রতিদিনের মতো সকালে ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফিরছিল না। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় লোকজন পটিয়া সুইচগেইট এলাকায় কৃষক হারাধনের মরদেহ ভাসতে দেখে থানায় খবর দিলে।
পরে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ নাজমুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে মৃত হারাধনের পরিবার ও পুত্র উজ্জ্বল চৌধুরী জানান, তার বাবাকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
দীর্ঘদিন যাবৎ হারাধনের বাড়ীর সীমানা নিয়ে তার প্রতিবেশীর সাথে বিরোধ চলে আসছে। এদিকে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ নাজমুল মরদেহের সুরতাল রিপোর্ট ও ঘটনার বিবরণে প্রাথমিক ভাবে জানান, মৃত হারাধনের মাথার পিছনে আঘাতের জখমের চিহ্ন ও বাম কানের উপরে আঘাতের চিহ্ন বাম হাত ও বুকে আঘাতের চিহ্ন এবং নাক মুখ দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী জানান, হারাধন সহজ-সরল প্রকৃতির একজন নিরীহ কৃষক। তার এর ধরনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, কৃষক হারাধনের লাশ সুইচ গেইট এলাকায় ভাসতে দেখলে স্থানীয় লোকজন তা
পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে প্রেরণ করা হয়। তবে তার পরিবারের দাবী জমিজমা সংক্রান্তের বিরোধের জের ধরে হত্যা করা হয় বলে দাবী করেন। সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হবে বলে জানান।
Discussion about this post