সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। খুচরা বাজারে কমেছে কেজিতে ১০ টাকা।
গতকাল বুধবার যেখানে পেঁয়াজ পাইকারিতে কেজি বিক্রি হয়েছিলো ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা, সেখানে আজ বৃহস্পতিবার সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে গতকাল যে পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।সরেজমিন পরিদর্শনে খাতুনগঞ্জে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের মজুদ লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে,বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ জরুরি ভিত্তিতে আমদানির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই পর্যাপ্ত পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাবে। এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। একইসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ দেশব্যাপী স্থানীয় প্রশাসনের নেতৃত্বে বাজার অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়ত সমূহ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি আড়তেই পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। মজুদের বিপরীতে খুব একটা ক্রেতা লক্ষ্য করা যায়নি।
আবদুর রহমান নামের একজন আড়তদার গনমাধ্যমকে বলেন, ‘আড়তে পেঁয়াজের প্রচুর মজুদ আছে, কোন সংকট নেই, দামও কমতির দিকে। গতকাল যে পেঁয়াজ পাইকারিতে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। কোন কোন পেঁয়াজ ৫৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।’
খাতুনগঞ্জের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের মার্কেট হামিদ উল্যাহ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মো. ইদ্রিস জানান, ‘পেঁয়াজের মূল্য এখন কমতির দিকে। গতকাল থেকে আজ পেঁয়াজের মূল্য কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে পর্যাপ্ত ক্রেতা নেই। ক্রেতা সংকট থাকলে দাম আরও কমতে পারে। তবে চাহিদা বেড়ে গেলে দাম বাড়তে পারে।’
এদিকে খুচরা বাজারে বৃহস্পতিবার পেঁয়াজের মূল্য কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে।
উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে পেঁয়াজের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অভ বাংলাদেশ(টিসিবি)-এর মাধ্যমে ট্রাক সেলে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ দেশব্যাপী পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। ফলে পেঁয়াজের মূল্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া পেঁয়াজ বিক্রির এ কার্যক্রম আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এতে বলা হয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবির মাধ্যমে এবার ব্যাপকভাবে পেঁয়াজ আমদানি ও বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশেষ করে টিসিবি এবার ই-কমার্সের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করবে।
পেঁয়াজের অবৈধ মজুত বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে সরকার প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
Discussion about this post