স্বাস্থ্যের অফিস সহকারী-স্টোর কিপারও কোটিপতি!

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী থেকে হাসপাতালের সচিব কে নেই কোটিপতির তালিকায়। দুর্নীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, উপরস্থ কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই দুর্নীতির সিন্ডিকেট আজ প্রাতিষ্ঠানিক রুপে পরিণত হয়েছে।

অন্যদিকে ড্রাইভার মালেক গ্রেফতারের পর দুদক কার্যালয়ে এসে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, দুর্নীতিবাজরা অবৈধ সম্পদ রক্ষায় সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনীকে মদদ দিচ্ছে। এদিকে স্বাস্থ্যের ২১ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার পরিজনসহ ৪৩ জনের সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুদক।

একদিনের ব্যবধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪৫ থেকে বেড়ে ৮৫ অস্বাভাবিক সম্পদশালী ও কোটিপতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত করছে দুদক। এ তালিকায় নাম রয়েছে অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের নানা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ড্রাইভার, অফিস সহকারী থেকে স্টোর কিপার। আবার সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী কোটিপতি বনে গেছেন। প্রত্যেকের নামেই রয়েছে অস্বাভাবিক সম্পদ উপার্জন, বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ।

শত কোটি টাকার মালিক স্বাস্থ্যের ড্রাইভার মালেক গ্রেফতারের পর সামনে আসা দুর্নীতি করে কোটিপতি হওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকাটা বেশ লম্বা।