রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের সামনের সড়কে ধর্ষণ-নিপীড়নের বিচারের দাবিতে কালোপতাকা মিছিলে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতিও হয়।
এ ঘটনায় নারী কর্মীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ।
আজ সকাল পৌনে ১২টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এরপর বিক্ষোভকারীরা বেলা সোয়া ১টার দিকে শাহবাগ থেকে টিএসসি হয়ে কালোপতাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যাত্রা শুরু করেন।
ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী নাজিফা জান্নাত জানান, মিছিলটি রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের সামনের সড়কে পৌঁছালে পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দেয়। সেসময় বিক্ষোভকারীদের আটকাতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়।
তিনি বলেন, ‘কালোপতাকা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে আমাদের আটকাতে চেষ্টা করে। শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে সামনে যাওয়ার অনুরোধ করি। আমরা সামনে এগুতে চাইলে সেসময় সামনের সারিতে থাকা নারী কর্মীদের পুলিশ লাঠিপেটা করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নারীবান্ধব সমাজ চাই। আমরা চাই নারীর প্রতি কোনো প্রকার নিপীড়ন হবে না। অথচ এই দেশের পুলিশের যে ব্যবহার- আমাদের নারী কর্মীদের গায়ে হাত তোলা, পেটে ঘুষি মারা হয়েছে। সেখানে কোনো নারী পুলিশও ছিল না।’
সাখাওয়াত ফাহাদ জানান, ছাত্র ইউনিয়ন মোহাম্মদপুর থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন শুভর হাত ভেঙে গেছে।
গুরুতর আহত হয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী আসমানী আশা, মাহমুদা দীপা, ইরফান খান প্রিন্স, ইমন শিকদার, অর্ণব, তাহমিদ তাজোয়ার শুভ্র ও রাসেল।
তিনি জানান, আহতদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী কর্মসূচিতে আজ সন্ধ্যা ৭টায় শাহবাগে মশাল মিছিল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে বলেও জানিয়েছেন সাখাওয়াত ফাহাদ।
Discussion about this post