মোহাম্মদ মহসিন খান, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ নাগরপুরে বন্যার পর দেশের বিভিন্ন স্থান হতে শীতের আগাম সবজি আসা শুরু করলেও বাজারে দাম চড়া । ফলে বিপাকে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নাগরপুর শহরের কাঁচা বাজার, গয়হাটা বাজার, সহবতপুর বাজার, ভাড়রা বাজার, সলিমাবাদ বাজার, ধুবড়িয়া- ভাদ্রা বাজার, দপ্তিয়র বাজার, মামুদনগর, মোকনা-পাকুটিয়া বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে সরকারের বেঁধে দেওয়া ৩০টাকা কেজির আলু ৫০-৫৫ টাকায়(রাজশাহী) বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়ার আলু ৪০-৪৫টাকা, শিম ১০০, পেঁয়াজ ৮৫, কাঁচা মরিচ ২৪০, বেগুন ৭০, করলা ১০০, পটল ৬০, শশা ৫০, ঢেঁড়স ৬০, বরবটি ৮০, বগুড়ার মূলা ৫০, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। জয়পুরহাটের কচুঁ লতা প্রতি আটি ৫০টাকা, বগুড়ার মিষ্টি লাউ ৩৫ টাকা কেজি, ফুলকপি ৮০, বাঁধাকপি ৬০, চিচিংগা ৬০, ধন্দুল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া লাল শাক ৬০ টাকা কেজি, পুঁইশাক প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কলমি শাক(চাষকৃত) ৪০-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেধে এসব সবজি ৫-৮ টাকা কমবেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এক বাজারের তুলনায় অন্য বাজারে সবজির দামে পার্থক্য রয়েছে।
বিভিন্ন বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতাদের কাছে এসব পণ্যের উর্ধ্বগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, তারা জেলা শহরের পাইকারী বাজার থেকে কাঁচামাল কিনে এনে বাজারে বিক্রি করে থাকেন।
পাইকারী বাজারে দাম বেশি থাকায় তারাও সে ধারাবাহিকতায় বিক্রি করছেন। পাইকারী কেনা দামের চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে তারা সবজি বিক্রি করেন।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত-ই-জাহান বলেন , উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের আমরা সর্তক করছি। জনস্বার্থে আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে
Discussion about this post