সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ হুঁশিয়ারিন দেন তিনি।হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভাস্কর্যকে মূর্তির সাথে তুলনা করে সমাজকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’ ইরানে আয়াতুল্লা খুমিনির ভাস্কর্য আছে।
ইরাকে রাস্তায় রাস্তায় ভাস্কর্য আছে। তুরস্কে এরদোগানের ভাস্কর্য আছে এবং পৃথিবীর অন্যান্য ইসলামিক দেশসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও রাস্তায় রাস্তায় ভাস্কর্য আছে,’ বলেন তিনি।আওয়ামী লীগ নেতা আরো বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দাসহ বিভিন্ন শহরে ঘোড়া ও উটসহ সৌদি প্রশাসকদের ছবি সম্বলিত ভাস্কর্য আছে।
এছাড়া জেদ্দায় পৃথিবীর বিখ্যাত ভাস্কর্য দিয়ে স্কাউচার মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে সেখানে নারী-পুরুষ, জীবজন্তুর ভাস্কর্যসহ বহু কিছুর ভাস্কর্য এবং মাওলানা রুমিসহ বহু স্কলারের ভাস্কর্য আছে।
ভাস্কর্য নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য অনবরত করতে থাকলে সরকার বসে থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা এ সমস্ত কথা বলেছিল তারা টেলিভিশনে বক্তব্য দেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গেলে খুশি হন। আসলে এসব কথা বলে সমাজকে বিভ্রান্ত করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব এ ধরনের বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য ও উস্কানিমূলক বক্তব্য তারা পরিহার করবে। এটি কখনো জনগণ মেনে নেয়নি। বাংলাদেশে কোনো মৌলবাদের, জঙ্গিবাদের স্থান নেই।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভাস্কর্য একটি দেশের ইতিহাস, কৃষ্টি কালচারের অংশ।
এমনকি সৌদি আরবেও এ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলেনি। যারা পাকিস্তানি ভাবধারার, তারা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাদের সেই স্বাদের পাকিস্তানেও কায়েদে আজম, লিয়াকত আলীসহ বহুজনের ভাস্কর্য আছে। সেখানেও কেউ প্রশ্ন তোলেনি।
আমাদের দেশের বিভিন্ন সময়ে বহু ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে। তখন কিন্তু কেউ প্রশ্ন তুলেনি। এখন এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে,’ বলেন তিনি।
Discussion about this post