চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সজুন প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের সততার সাথে পেশাগত কর্তব্য পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে প্রশাসকের দপ্তরে প্রকৌশলীদের সাথে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় তিনি এই নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নকালীন সময়ে কাজের স্থানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কোন কোন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শ্লথগতি ও ঢিলেমী পরিলক্ষিত হচ্ছে। কাজের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ঠুনকো অজুহাতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে এবং বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করতে টালবাহানা তৈরী করছে। এর ফলে বরাদ্দকৃত অর্থের অপচয় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ধরণের মনোবৃত্তি নেতিবাচক এবং তা কিছুতেই সহ্য করা হবে না।
তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের ক্ষেত্রে নেতিবাচক মনোবৃত্তির ঠিকাদারদের উপর চাপ সৃষ্টি করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ বুঝে নেয়ার জন্য প্রকৌশলীদের তাগিদ দেন এবং চুক্তির শর্তভঙ্গকারী ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ অবকাঠামো মাঝির ঘাট- স্ট্র্যান্ড রোডের সংস্কার কাজের গতিবৃদ্ধি এবং কাপ্তাই সড়ক থেকে বৌদ্ধ শ্মশান পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের নির্দেশ দেন। প্রশাসক জহুর আহমদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে সাগরিকা পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে সৌন্দর্যবন্ধন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
স্তরের খ্যাতিমান ক্রিকেটারদের ম্যূরাল স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু। এই ভেন্যুতে যাওয়া- আসার জন্য দেশ-বিদেশের ক্রিকেট প্রেমিরা এই সড়কটি ব্যবহার করেন। তাই এই সড়কের সাথে চট্টগ্রামের ভাবমূর্তির সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি নগরীর স্টেশন রোডের সকল সাইনবোর্ড একই রঙে করার জন্যও নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রামের সড়কগুলোর বিভিন্ন অংশে ওয়াসার যত্রতত্র কাঁটাকাটিকে নাগরিক দুর্ভোগের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করে বলেন, নগরীর রাস্তাঘাট কাঁটাকাটি করতে হলে ওয়াসাকে
চসিকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে বলা হলেও তা তাঁরা মানছে না। তাই প্রশাসক আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত নগরীতে রাস্তাঘাট না কাঁটার জন্য ওয়াসাকে নির্দেশ দেন।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ পিএসসি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম, মনিরুল হুদা, আবু ছালেহ, সুদীপ বসাক, ঝুলন কান্তি দাশ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম,
নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, আবু সাদাত মো. তৈয়ব, বিপ্লব কুমার দাশ, জয়সেন বড়ুয়া, মির্জা ফজলুল কাদের, অসীম বড়ুয়া, শাহিনুল ইসলাম, ফারজানা মুক্তা, আবু সিদ্দীক, জসিম উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, আনোয়ার জাহান, রিফাতুল করিম, মিজবাহ উল আলম, রেজাউল বারী চৌধুরী।
Discussion about this post