তৈয়বুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জে অপহৃত স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগের ২২ দিন পর রোববার (১০ জানুয়ারি) রাতে অপহরণকারী লম্পট ধর্ষক বদরুল (২৫) কে আটক করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে আটককৃত ওই ধর্ষককে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, শ্রীপুর থানা এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার এবং কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওপাড়া এলাকা থেকে ধর্ষক বদরুল আহাম্মদ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার ১০ জানুয়ারী রাতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষার রেজাল্ট আনতে আজমতপুর আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজে যায়। তার বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীর ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুজির পর তার কোন সন্ধান না পেয়ে ২১ ডিসেম্বর ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (৯২৭) করে। পরে ১০ জানুয়ারী রোববার রাতে ওই ছাত্রীকে শ্রীপুর থেকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
ভিকটিম জানান, মোবাইল ফোনে বদরুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে কথা হতো সেই সুবাদে তাদের মাঝে সখ্যতা গড়ে উঠে। তার কথা মতো ওই শিক্ষার্থী
১৯ ডিসেম্বর জাঙ্গালীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গেলে বদরুলসহ তার অজ্ঞাত আরো কয়েক বন্ধু মিলে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে জাঙ্গালীয়া এলাকায় তার এক ভগ্নিপতির বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ওই ছাত্রীকে জিম্মি করে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে লম্পট বদরুল।