মুক্তখবর24.কম ডেস্কঃ নিউজঃ ঘটনার তথ্য সংগ্রহের জের ধরে বাঁশখালীতে এক সাংবাদিকের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার বাঁশখালী প্রতিনিধি বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) মাগরিবের নামাজের পর গণ্ডামারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে সাংবাদিক মহিউদ্দিন বলেন, গণ্ডামারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাতলারো বাড়ির নুরুল ইসলামের পুত্র রাকিব (২৭) সাথে একই ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আজগর আলী সিকদার বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের কন্যা চট্টগ্রাম শহরে গার্মেন্টসে কর্মরত নয়ন মনির সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।
মঙ্গলবার (২ফেব্রুয়ারি) প্রেমিক রাকিবের বিয়ের এ্যাংগেজমেন্টের সংবাদ পেয়ে প্রেমিকা স্ব-শরীরে প্রেমিক রাকিবের ঘরে হাজির হলে এক নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার বাঁশখালী প্রতিনিধি মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ঘটনার তথ্য সংগ্রহের জন্য হাজির হন। তথ্য সংগ্রহের এক পর্যায়ে রাকিবের চাচাতো ভাই জাকের হোসেন (২৮) তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সাংবাদিক মহিউদ্দিনের উপর চড়াও হয়ে তার পরনের ব্লেজার টেনে হিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলে এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুঁষি মারতে থাকে।
সেখান থেকে কৌশলে কোন রকমে সাংবাদিক মহিউদ্দিন নিজেকে বাঁচিয়ে ঘটনাটি দ্রূত বাঁশখালীর সহকর্মী সাংবাদিকদের ও থানায় ফোন করে জানানোর পরপর বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউল কবীরের নির্দেশে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হওয়ার আগেই জাকের ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন এসআই আরিফুল ইসলাম।
পরে সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানায় হামলাকারী জাকেরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেছেন হামলার শিকার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গণ্ডামারা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিক মহিউদ্দিনের উপর হামলার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ওসি স্যারের নির্দেশে দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হই। শুনেছি ওই সাংবাদিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে বাঁশখালীতে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ এ ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।