বাবুল হোসেন বাবলা বিশেষ প্রতিনিধি
কঠোর স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউনের মধ্য দিয়ে বন্দর নগরী ইপিজেড পতেঙ্গার বাসিন্দারা ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত হলেও তীব্র যানযটে অতিষ্ঠ হচ্ছেন প্রতিনিয়িতই। এ যেন অভিভাবকহীন এলাকা। বিগত সময়ের চসিক প্রশাসক জোর চেষ্টা চালিয়েও যেমন সড়কের যানযট নিরসন করতে পারেন নি, তেমনিভাবে বর্তমান চসিক মেয়রের পক্ষেও কভিডের কারণে এই অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব হয়নি,মন্তব্য করেন নগরবাসী। তবে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের ধারণা চলমান উন্নয়ন কাজ কিছুটা শেষ হলে এর সুফল জনগণ অবশ্যই পাবে।
ঈদ কেনাকাটার খবরঃ অন্যদিকে পবিত্র রমজানের ঈদ কে সামনে রেখে আজ রোববার সিইপিজেড বে-শপিং সেন্টার বেশ জমজমাট হলেও বেশির ভাগ নারী শ্রমিকদের কঠোর স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব বিষয়টি বেমালুম ভুলে গিয়ে ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
তবে নগরীর ব্যস্ততম সিইপিজেড বে-শপিং সেন্টার মার্কেটের প্রধান গেইটে মাস্ক, হ্যান্ডস্যানিটাইজার, জ্বর মাপার যন্ত্র এবং জীবানুনাশক স্প্রে ব্যবহারবিধির ব্যবস্থা থাকলেও তা যেন মানতে ক্রেতাদের অনাগ্রহই বেশী।
এই প্রসঙ্গে বে-শপিং সেন্টার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি কাজী আজিজুল হক বলেন, সরকার আমাদের কে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মধ্য দিয়ে ব্যবসা করার জন্য সুযোগ দেওয়াতে আমাদের সকল ব্যাবসায়ী ও দেশবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং সেই সাথে স্বাস্থ্য বিধি পালন করতে আমরা সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সকল কে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি ।
তবে আমাদের এই সীমিত পরিসরে বেচা-বিক্রি পোষাবে না একই সাথে বিগত বছরের ক্ষতিও পুষিয়ে উঠতে পারে নি এখোনো। ক্রেতারা এখানে আন্তরিক না হবার পিছনে-এলাকাটি গার্মেন্টস শিল্প ও বন্দর শ্রমিক উর্ধেসিত এলাকা হওয়ায় অনেক ইচ্ছাই পূরণ করা সহজ হয়না।ঈদ কে সামনে রেখে আগামী ৩-৪দিন সম্মানের সহিত বেচা-বিক্রি করতে পারলেই ভালো।
Discussion about this post