মো:ইমাম উদ্দিন সুমন, (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালী শহরের পশ্চিম মহোদুরী এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সঙ্গে ‘ ‘বন্দুকযুদ্ধে’এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার ডিবির ওসি কামরুজ্জামান সিকদারসহ পাঁচজন আহত হন। আহতদের মধ্যে বাকি সদস্যরা হলেন এসআই সাঈদ মিয়া, এসআই ওমর ফারুক, এএসআই মো. মাসুদ ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের হরিনারায়ণপুরের পশ্চিম মহোদুরি চাপা মিয়ার বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম ইব্রাহিম খলিল ওরফে ভান্ডারী রুবেল (২৭)। তিনি শহরের আইয়ুবপুর এলাকার আবুল কাশেম ভান্ডারীর ছেলে। ডিবির দাবি, খলিল মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ১৬টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সিকদারসহ ডিবির পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা ডিবির পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পূর্ব মহোদুরী এলাকা থেকে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ইব্রাহিম খলিলকে গ্রেপ্তার করে ওসি-ডিবির নেতৃত্বে একটি দল। ওই সময় তাঁর কাছ থেকে ৬০টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর খলিলকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি তাঁর কাছে আরও ইয়াবা ও অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেন। আজ ভোর চারটার দিকে তাঁকে নিয়ে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে ডিবির একটি দল পশ্চিম মহোদুরী এলাকার রেললাইন-সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছাতেই খলিলের সহযোগীরা ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এ সময় দুই পক্ষে গোলাগুলি হয়।
পরিদর্শক জাকির বলেন, একপর্যায়ে সন্ত্রাসী খলিলের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে খলিলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওসি-ডিবি কামরুজ্জামান সিকদার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, একটি পাইপগান, ছয়টি গুলি, ছয়টি কার্তুজ, একটি ডেগার, তিনটি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা, একটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, ছয়টি মাদক নিয়ন্ত্রণ, দুইটি চাঁদাবাজির মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৬টি মামলা রয়েছে।