বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন এস এ পাওয়ার প্ল্যান্টে পুলিশ শ্রমিক সংঘর্ষে নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এসময় নিহত সাত শ্রমিকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা ও আহত ২২ শ্রমিকের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকার অর্থ সহায়তার চেক তুলে দেয়া হয়।
২০ মে, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাঁশখালীতে সংঘর্ষে নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারকে এ অর্থসহায়তার চেক প্রদান করা হয়।চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম ১৬ আসন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর থেকেই দেশে শতভাগ বিদুৎ নিশ্চিতে কাজ করেছেন।এর ধারাবাহিকতায় বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়। কিন্ত এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল শুরু থেকেই সংঘাত সৃষ্টি করতে সজাগ ছিলো। আর তারা সেই পরিকল্পনা থেকে সাধারণ শ্রমিকদের উত্তপ্ত করে সংঘর্ষ ঘটায়।
তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় যারা নিহত ও আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারকে আজ আর্থিক সহয়তা দেয়া হচ্ছে। এতে করে বোঝা যায়, শেখ হাসিনা সরকার সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকে।অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাঁশখালীর ঘটনাটি মূলত একটি কুচক্রী মহলের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল। ঘটনার পর পর আমাদের জেলা প্রশাসকসহ ডিআইজি সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। বর্তমানে সেখানকার শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছে বলে জানান।তিনি আরো বলেন বাঁশখালীতে সংঘটিত দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত শ্রমকিদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে এই অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়া, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, চট্টগ্রাম কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাত, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী, জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও সহকারী কমিশনার বৃন্দ,কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের নেতা আলহাজ্ব সফর আলী,বাশঁখালী উপজেলার জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ । খবরের ছবি-শহীদুল ইসলাম,২০/০৫/২১ইং(দুপুরের)
Discussion about this post