বিশেষ প্রতিনিধি:২৩মে
পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে সহোদর ভাই-বোন ও বঞ্চিত করার পাঁয়তারা এবং নানা অপরাধে জড়িত সন্তানের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পটিয়ার ভুক্তভোগী এক মা।
গতকাল ২২ মে (শনিবার) সকালে পটিয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মা অভিযোগ করে বলেন, তার দুই পুত্র মোরশেদ ও সামশেদ তাদের পরিবারের অপর ভাইদের সম্পত্তি না দিয়ে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করে অন্য পুত্র ও কন্যাসহ পরিবারের ৬ সদস্যকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।মা নূর নাহার বেগম (৬৪) ও পুত্র জামশেদ কে কুপিয়ে আহত করেছে। তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলেন- পটিয়া পৌর সদরের পোষ্ট অফিস গলির চাঁন্দ মিয়া সওদাগর বাড়ীর মরহুম মোঃ ইউনুছ এর ৫ পুত্র ২ কন্যা। ১ম পুত্র খোরশেদ আলম তার পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় ব্যাংকে চাকুরী নেয়।চাকুরী থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে কক্সবাজার সৈকতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। খোরশেদ চাকুরীতে থাকার সুবাদে খোরশেদের ভাই জামশেদ ও সামশেদ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখাশুনা করত। এসময় সামশেদ ব্যবসার বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে ফেলে।
এর মধ্যে খোরশেদ ও অন্য দুই ভাইয়ের অর্থ দিয়ে একটি ৪ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। তাদের পিতা মোহাম্মদ ইউনুছ মারা গেলে ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ ও ভাড়া আদায়ের জন্য মোরশেদ ও সামশেদকে দায়িত্ব দেয়া হয়।গত ১ এপ্রিল ঝগড়া সৃষ্টি করে মা নুর নাহার বেগমকে মারধর ও ভাই জামশেদকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এব্যাপারে পটিয়া থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। বর্তমানে তাদেরকে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
মা নূর নাহার বেগম জানান বর্তমানে দুই সন্ত্রাসী পুত্র তাদের স্ব-পরিবারে হত্যার হুমকি দিচ্ছে এবং তারা দুই জন ছয় জনকে বঞ্চিত করে বাড়ী ঘর সম্পূর্ণ দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি দুঃখ করে বলেন ‘‘কুলাঙ্গার পুত্র বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়ায় ভাল’’তিনি প্রশাসনের কাছে অপরাধী পুত্রদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফেরদৌস বেগম, খালেদা আক্তার তানভীর ও আনিসা।
Discussion about this post