সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১ম স্থান অর্জন করেছেন: জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনে

জেলা প্রতিনিধি ওচট্টগ্রাম প্রতিকেদকঃ২৪মে

জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনকালে(২৩-২৯ এপ্রিল)-২০২১ সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অর্জন করেছেন।  জাতীয়  পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনে যাবতীয় কার্যক্রম পর্যালোচনা ও সামগ্রিক বিবেচনায় চট্টগ্রাম জেলার ১৪ উপজেলার মধ্যে জেলা পর্যায়ে ১ম স্থান সীতাকুন্ড । একই বিবেচনায় লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-২য় ও ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-৩য় স্থান অর্জন করেন।

এ উপলক্ষে ২৪ মে সোমবার দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ১ম স্থান অর্জনকারী সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোঃ নুর উদ্দিন, ২য় স্থান অর্জনকারী লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোঃ হানিফ ও ৩য় স্থান অর্জনকারী ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. নাবিল চৌধুরীর হাতে পুরস্কার হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা সিভিল সার্জন ও আন্দরকিল্লা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোঃ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. মোঃ জাহিদ, জেলা স্বাস্থ্য তত্তাবধায়ক সুজন বড়–য়া, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তাগণ। জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবুন”।

অনুষ্ঠানে ১ম স্থান অর্জনকারী সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোঃ নুর উদ্দিন বলেন, গত ২৩-২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ চলাকালীন সময়ে সহকর্মীদের নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে গর্ভবতী মহিলা ও শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি বিষয়ক বিশেষ পরামর্শ প্রদান করা হয়। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে মোয়াক, ওজন ও উচ্চতা পরিমাপ করা হয়।

এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্ক লোকদেরকে হেলথ চেকআপসহ গ্লুকোজের মাত্রা নির্ণয় করা হয়। জেলার আন্দরকিল্লায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, স্বাস্থ্য-সেবার সার্বিক মানোন্নয়নে প্রতিযোগিতার কোন বিকল্প নেই। যে প্রতিষ্ঠান যত বেশি কাজ করবে সে প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে অনেকদূর এগিয়ে গিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি আরো উজ্বল করবে।

জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনকালীন সময়ে জেলার ১১ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়। শেষে সামগ্রিক পর্যলোচনায় সীতাকুন্ড ১ম, লোহাগাড়া ২য় ও ফটিকছড়ি উপজেলা ৩য় স্থান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ভবিষ্যতে এ ধরণের প্রতিযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।