বিশেষ প্রতিবেদকঃ২৬মে,চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম উপজেলার চন্দনাইশের ১নং কাঞ্চনগর ইউপির স্থায়ী বাসিন্দা জুলি বড়ুয়া(২৩),স্বামী-টারজান বড়ুয়া(২৫),পিতা-রতন বড়ুয়া সম্প্রতি ঢাকার শরিয়তপুর পুলিশ সুপার কার্য্যালয়ে জাজিরা থানায় লিথিত অভিযোগে করে জানাই যে, তার স্বামী টারজান বড়ুয়া পুলিশ সদস্য(বিপি নং৯৬১৫১৭৮৪৮০) দীর্ঘদিন যাবত চাকুরীর সুবাধে চট্টগ্রাম থেকে শরিয়তপুর এসে তথ্য গোপন করে তাকে না জানিয়ে ২য় বিবাহ করেছে। আর তাদের ঔরসে জন্ম নেওয়া এক মাত্র কন্যা সন্তান(১বছর)আদ্রিজা বড়য়া ও কে অস্বীকার করছেন।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে যে, আত্মীয়তার সুবাদে টারজান জুলিদের বাসায় প্রতিনিয়তই আসা যাওয়া করতো, সেই সুবাধে তাদের মধ্যে পরিচিত হওয়ায় একদিন হঠাৎ ২০১৬সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী কোর্ট ম্যারিজ(হলফ নামা) নং২ও৩নং নোটারী পাবলিকের চট্টগ্রাম কার্য্যালয়ে এনায়েত বাজারস্থ নাসির কলোনীতে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
টারজানের গ্রামের বাড়ী মীরস্বরাই(২নং ওয়ার্ড) হাইতকান্দি ইউপিতে। তার বাবা ঝলক বড়ুয়া (৪৬) ও একজন পুলিশ সদস্য কণস্টেবল হওয়ায় আমাদের সম্পর্কের বিয়ে মেনে নেয় নি। বিয়ের কথা পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে তার বাবার নির্দেশে সে এক সময় রাঙ্গামাটিতে চাকুরীর বদলি জনিত কারণে হিলটেক্স এলাকায় জান। সেখানে গিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন করলে বিগত০১/০৯/২০১৬ সালে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দিলে সে আবার যোগাযোগ করেন এবং স্বামী-স্ত্রী রূপে আমরা সংসার করতে থাকি।
পরেক্ষনে কিছুদিন যেতেই আমার বাপের বাড়ি থেকে মোটা অংকের যৌতুক/উপহার কিংবা নগদ টাকা এনে দিতে শারীরিক ওমানষিক নির্যাতন সহ ব্যাপক মারধর করেন। এতে জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিজ্ঞ আদালতের নারী-শিশু ট্রাইবুনাল-৩ এ একটি মামলা নং৮২৪/২০১৬ দায়ের করি। এতে নোটিশ পেয়ে সে ও তার বাবা চাকুরী হারানোর ভয়ে বিজ্ঞ কোটে এডভোটের সামনে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তি সমন্বয়ে লিখিত শালিস মানিয়া আবারো ঘর সংসারে ফিরিয়ে নেন জুলি কে।
এর পরে টারজান বড়ুয়া চাকুরী আবারো বদলী হয়ে রামু থানাস্থ গর্জানিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অধীনে পোস্টিং হয়ে জুলিকে নিয়ে স্বামী স্ত্রী রূপে বসবাস করতে থাকে। সেই সময়ের২০২০ সালের ১২এপ্রিলে তাদের একটি কণ্যা সন্তান জন্ম হয়। কিছু দিন যেতেই টারজান আবারো বদলীর আদেশ পেয়ে ২০২০ সালের অক্টোরের শেষ দিকে শরীয়তপুরের জাজিয়া থানায় কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করেন।
যোগদান করলে তার পরিবার সু-কৌশলে আমাকে সরানোর জন্য অন্য একজন মেয়ে কে তথ্য গোপন করে( প্রথম বিয়ের স্ত্রী -সন্তান) না জানিয়ে মিমি খিং নামে মেয়ে কে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করে। যা অত্যন্ত গহিত কাজ ও বেআইনী। তবে আমরা যেন বুঝতে না পারি তার জন্য প্রতি মাসে৫/৭ তারিখের মধ্যে খরচ/ঘরভাড়া ফি বিকাশে /এসএ পরিবহনে পাঠিয়ে দিতেন। একদিন হঠাৎ ভিডিও কলে ফোন দিলে ২য়স্ত্রী মিমি খিং নামে মহিলা আমার ফোনে কথা বলায় তার গোপন তথ্র ফাঁস হয়।
বিষয়টি তার পরিবার কে জানালে তারা আমাদের চরম ভাবে হেনস্তা করে আমার -মা ও নিকট আত্মীয় কে পুলিশ ভয়ভীতি ,তীব্র হুমকি, মেরে ফেলাসহ গুম করা হবে বলে শাসিয়ে দেন। তার পিতা ঝলক বড়ুয়া(আসকার দিঘী) পুলিশ ফাড়িঁ,বর্তমানে কোট বিল্ডিং এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন বলে জানান।
এবিষযে জুলির মা সুমি বড়ুয়া অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলেন, একজন আইনের লোক (পরিবারের সদস্য) সদস্য হয়ে কি করে বিয়ে নামক নাটক করেন তা আমি বিজ্ঞ কমিশনার,পুলিশ সুপার এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে স্বচ্ছ বিচারের দাবি জানাই। তিনি আরো জানান, চলতি মাসের ২২ মে শরিয়তপুর পুলিশ সুপারের নিকট বিচার চাইলে, তারা কোন সঠিক উত্তর পাইনি, উল্টো পুলিশ সুপারের কার্য্যালয় থেকে বেরিয়ে টারজান বড়ুয়া আমাকে ও মেয়ে কে শাসিয়ে বলেন কি করতে পার বা কর আমি জুলি ও মেয়ে কে স্বীকার করি না , আমার বাব (ঝলক বড়ুয়া ) যা বলবেন তাই হবে।
বিষয়টির ব্যাপারে টারজান বড়ুয়া র সাথে যোগাযোগ করলে চাকুরী ও ব্যস্তার কথা বলে এড়িয়ে যান, আর এই বিষয়ে কোন কথা বলতে চান না বলে পাশ কাটেন।
Discussion about this post