বার্তা প্রতিবেদকঃ৩১মে,চট্টগ্রাম
নগরীর সল্ট গোলা রেল ক্রসিং ঈশান মিস্ত্রিহাট রোডে ফ্লাইওভার কাজের দখলকৃত জায়গায় উচ্ছেদ অভিযানে সোমবার,৩১মে সকাল সাড়ে ১০টায় (সিডিএ-ম্যাক্স ও বন্দর কর্তৃপক্ষ )যৌথভাবে প্রায় ৪০-৫০টি স্থায়ী দোকান, একটি মাদ্রাসা,অস্থায়ী বাজার সহ টেম্পু স্টেশন,ভাসমান দোকান ঘর উচ্ছেদ করছে বলে জানিয়েছে স্থায়ী দোকানীরা।
সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যাই,সিডিএ-ম্যাক্স ও বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে সল্টগোলা রেল ক্রসিং মোড়ের দক্ষিণে ৪,৫,৬,৭নং ব্লক’র প্রায় ৯/১০ টি দোকানসহ আরো উত্তরে ৩০-৪০টি স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান ঘর পূর্ব কোন নোটিশ বা ঘোষনা না দিয়ে উচ্ছেদ করছে বলে জানিয়েছেন ,দীর্ঘ ৫২বছরের পুরাতন ( মনি মেডিকেল স্টোরের) মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অণিল বরণ রায়ের স্ত্রী মিসেস লক্ষী চৌধুরী।তিনি আরো জানান, এতো বছরের পুরাতন বিশাল দোকান সরাতে সিডিএ-ম্যাক্স এভাবে উচ্ছেদ আসলেই সহজে মেনে নিতে পারছি না।
উচ্ছেদ স্থানে একটি মাদ্রাসা,অস্থায়ী বাজার, টেম্পু স্টেশন,রড-সিমেন্টে দোকান,খাবার হোটেল ,ফলের দোকান সহ ছোট-বড় আরো অনেক প্রতিষ্ঠান। সিডিএর এলিফ্রেড এক্সপ্রেস রোডের নির্মাণ কাজে নিরাপত্তার স্বার্থে স্থায়ী দোকানীদের এই মহামারী করোনাতে সহায়তা দানের জন্য উচ্চ প্রশাসনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এছাড়া উচ্ছেদে আজম এন্ড ব্রাদাস, শাহিন স্টোর,এস.এ ফার্মেসী, লোকমান বেকারী,বিছমিল্লাহ টেলিকম, স্বন্দীপ স্টোর, মাবুদ এন্ড সন্স,খাজা ভাতঘর সহ আন্জুমানে ফেদায়ানা মোস্তফা(দঃ) নামে একটি বহু পুরাতন মাদ্রাসা ভবনও রয়েছে, যা চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশংকা করেন পরিচালনা কমিটি।
এব্যাপারে উন্নয়ন কাজের কন্টাশটাকশন কোম্পানী ম্যাক্স লিমিটেড বা সিডিএর কর্তৃপক্ষর উপস্থিত লোকদের জানতে চাইলে তারা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে কথা বলতে জানান। আর উচ্চেদ কাজে( সিডিএ–ম্যাক্স)’র লোক সহ বন্দর কর্তৃপক্ষর মাইক্রোবাস সহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের দেখা গেলেও কেউ কথা বলতে চাই নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ম্যাক্স লিঃ এর এক সাইট সুপারভাইজার বলেন, উচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্থ স্থায়ী দোকানীদের বিষয়টি উপরের মহলে জানানো হবে। এতে হতাশ হবার কিছু নাই।
Discussion about this post