সল্টগোলায় সিডিএ-ম্যাক্স’র উচ্ছেদে স্থায়ী দোকানীদের ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশংকা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ৩১মে,চট্টগ্রাম।

নগরীর বন্দরের সল্টগোলা রেল ক্রসিং মোড়ে সিডিএর এলিফ্রেড এক্সপ্রেস রোডের নির্মাণ কাজে নিরাপত্তার স্বার্থে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়া স্থায়ী লিজ নামা দোকানীদের ক্ষতিগ্রস্থ  হবার  আশংকার কথা  জানিয়ে বলেন, আমরা কিছু পুরাতন ও লিজকৃত জমির দোকানীরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এই মহামারি করোনাতে বিশাল ভাবে আর্থিক  ক্ষতি  সম্মুখিন হয়ে নিদারুণ কষ্টে পড়তে হবে।

সোমবার ,৩১মে সকালে (সিডিএ-ম্যাক্স ও বন্দর) কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে প্রায় ৪০-৫০টি স্থায়ী দোকান এবং আরো৬০/৭০টি ভাসমান দোকান(অস্থায়ী) দোকান উচ্ছেদ করতে গেলে সল্টগোলা রেল ক্রসিং মোড়ের দক্ষিণে ৪,৫,৬,৭নং ব্লক’র প্রায় ৯/১০  টি দোকান চরম ভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন দীর্ঘ ৫২বছরের পুরাতন ( মনি মেডিকেল স্টোরের) মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অণিল বরণ রায়ের স্ত্রী মিসেস লক্ষী চৌধুরী।

তিনি আরো জানান, আমাদের এতো বছরের পুরাতন বিশাল দোকানটি সরাতে সিডিএ-ম্যাক্স ও বন্দর কর্তৃপক্ষ  পূর্ব কোন নোটিশ বা ঘোষনা না দিয়ে এভাবে উচ্ছেদ আসলে সহজে মেনে নিতে পারছি না। আমার স্বামী দেশের জন্য প্রাণপন লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জনের এই পুরস্কার কি দিল এই উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ  গুলো? মুক্তিযোদ্ধা অণিল বরণ বর্তমানে চিকিৎসা জনিত কারণে বাসায় আছেন,ওনি এই বিষয়টি শুনলে হয়তো স্টোক করে মারা যেতে পারেন..! কর্তৃপক্ষ’র নিকট আমাদের জোর দাবি উন্নয়ন কাজ শেষে যেন, স্থায়ী লিজকৃত দোকান-জায়গা সহ ফেরত দেন।

অপর ক্ষতিগ্রস্থ দোকানী ইমতিয়াজ সওঃ বলেন, হাজী ইউনুছ সাহেব থেকে ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ ৪০বছর যাবত ব্লক’(৩৪০)ফিট জায়গাটি দোকান ঘর হিসেবে বন্দর কর্তৃপক্ষর লিজকৃত স্খায়ী দোকানে ব্যবসা করে পরিবার পরিজন নিয়ে চলছি। এটি বন্ধ হলে সোজা পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। আর আমরা সরকারের উন্নয়ন কাজে সহায়তা করছি যেন, কাজ শেষ হলে আমাদের লিজকৃত দোকান ফিরে পাই।

একই কথা জানান,৪ ব্লক’র মৃত ইদ্রিস মিয়ার পুত্র মোঃ ইমতিয়াজ চৌধুরী ও  তিনি জানাই,১৯৮১ সালে  বন্দর কর্তৃপক্ষর লিজকৃত স্খায়ী দোকান হিসেবে ৩টি দোকান(৩৮০) ফিটের জায়গা ভাড়াদিয়ে সংসার চলছে। এটি যতি ফিরে না পাই তা হলে সত্যিই এই করোনাতে ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না। পাশের দোকানী সাইফুল আজম বলেন, বিভিন্ন সমিতি/ব্যাংক থেকে৪-৫ লাখ টাকা ধার-লোন নিয়ে টেলিকম/সিমের ব্যবসা করে কোন মতে বেঁচে আছি। এটি বন্ধ হয়ে গেলে বেকার জীবনে খুব ক্ষতির সম্মুখিন যে হব তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।

এই উচ্ছেদ স্থানে একটি মাদ্রাসা,অস্থায়ী বাজার, টেম্পু স্টেশন,রড-সিমেন্টে দোকান,খাবার হোটেল ,ফলের দোকান সহ ছোট-বড় আরো অনেক প্রতিষ্ঠান। সিডিএর এলিফ্রেড এক্সপ্রেস রোডের নির্মাণ কাজে নিরাপত্তার স্বার্থে স্থায়ী দোকানীদের এই মহামারী করোনাতে সহায়তা দানের জন্য উচ্চ প্রশাসনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

এছাড়া উচ্ছেদে আজম এন্ড ব্রাদাস, শাহিন স্টোর,এস.এ ফার্মেসী, লোকমান বেকারী,বিছমিল্লাহ টেলিকম, স্বন্দীপ স্টোর, মাবুদ এন্ড সন্স,খাজা ভাতঘর সহ আন্জুমানে ফেদায়ানা মোস্তফা(দঃ) নামে একটি বহু পুরাতন মাদ্রাসা ভবনও রয়েছে, যা চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশংকা করেন পরিচালনা কমিটি।

এব্যাপারে উন্নয়ন কাজের কন্টাশটাকশন ম্যাক্স বা সিডিএর কর্তৃপক্ষর উপস্থিত লোকদের জানতে চাইলে তারা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে কথা বলতে জানান। আর উচ্চেদ কাজে( সিডিএ–ম্যাক্স)’র লোক সহ বন্দর কর্তৃপক্ষর মাইক্রোবাস সহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের দেখা গেলেও কেউ কথা বলতে চাই নি।

 ক্ষতিগ্রস্থ স্থায়ী দোকানীরা বিষয়টি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সহ সরকারের উচ্চ মহলে সু-নজরে দেখার বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন।