প্রতিনিধিও চট্টগ্রাম প্রতিবেদকঃ০১জুন
চট্টগ্রাম উপজেলা পটিয়ায় দিন দিন বাড়ছে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ডায়রিয়া রোগী। এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ নিকটস্থ সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
রোগীদের ভীড়ে ৫০ শয্যা হাসপাতালটিতে যেন তিল ধারণের ঠাই নেই। অনেক রোগী সিট না পেয়ে হাসপাতালের ফ্লোরেই চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। গত ২/৩দিন যাবত উপজেলা বিভিন্ন ইউপিতে আগত বেশ কয়েকজন রোগিরা স্বজনরা জানান, হঠাৎ করেই ডায়রিয়া-আমাশয়,কলেরার মতো পানিবাহিত রোগ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ ও সেবা নিয়ে রীতিমত ক্লান্ত স্বজনরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে ৮০-১০০ জন রোগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ৭০ জনই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। বেশির ভাগ রোগীই শিশু আর বৃদ্ধ।
গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৪০/৫০ জন রোগী ডায়রিয়া-কলেরায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, গরমের কারণে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আয়শা নুর (৫৫)জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার ছেলেকে পটিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে আনা হয়। সিট না পেয়ে ফ্লোরেই চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও হাসপাতালের অফিস সহকারী আহসান জানান ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিনই শতাধিক রোগী ভর্তি থাকে। এছাড়া কর্ণফুলী,দোহাজারী,বোয়ালখালী সহ বিভিন্ন উপজেলার রোগীরাও চিকিৎসা সেবা নিতে এ হাসপাতালে আসে।
আর এ অতিরিক্তি রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেরাই রোগী হয়ে যাচ্ছি। ঔষধ সরবারহ থাকলেও সিট সংকটের কারনে অনেক রোগীকেই মেঝেতে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সব্য সাচী বলেন, গরম বেড়েছে গরমে রাস্তার পাশের শরবত পান, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন থাকা, অনিরাপদ পানি পানকরা ও খাবার খাওয়ার কারণে গরমের এ সময়ে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব প্রকোপ আকারে দেখা দিয়েছে।
এখনোই সচেতন না হলে জনগন কে মহামারি করোনাতে বিশাল স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে তিনি ধারনা করছেন। এ ক্ষেত্রে খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। বাইরের যেকোনো খাবার বর্জন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।