ক্রীড়া বার্তা প্রতিবেদকঃ০২জুন
চট্টগ্রাম ফুটবল ট্রেনিং একাডেমির নামে চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল রেফারী এসোসিয়েশনের অফিসে জুয়ার আসর থেকে কোতোয়ালি থানার অভিযানে ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ১৯ জুয়াড়ীর দখল থেকে নগদ পৌনে সাত লাখ(৬ লাখ ৭৫হাজার) টাকা ,জুয়ার সামগ্রী সহ উদ্ধোর করেছে কোতোয়ালি থানা অভিযান টিম।
গতকাল মঙ্গলবার(০১জুন) সন্ধ্যায় নগরীর কোতোয়ালি থানার এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকার চট্টগ্রাম ফুটবল ট্রেনিং একাডেমির অফিস তথা জেলা ফুটবল রেফারী এসোসিয়েশনের কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- মো. ইকবাল, আকবর হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম, মো. আব্বাস, মো. করিম, মো. সোহাগ, তৌহিদুল আলম, হেলাল উদ্দিন, মো. ফরিদ, মাহমুদুল হক, মো. সুমন, মো. মনছুর, মো. কাইয়ুম, মো. মুসলিম উদ্দীন, মো. রানা, মো. বাবুল, জসীম উদ্দীন, রুবেল উদ্দীন ও এমরান উদ্দীন।
অভিযান প্রসঙ্গে কোতোয়ালী জোনের এসি এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন,দীর্ঘ দিন যাবত রেফারী সমিতির কার্যালয়ে জুয়াড়ীরা ছদ্ম বেশে টাকার বিনিময়ে জুয়ার আসর বসিয়ে আসছিলেন। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার(০১জুন) সন্ধ্যায় তাদের কে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হন টিম কোতোয়ালী।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুটবল ট্রেনিং একাডেমির অফিসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জুয়ার সামগ্রী ও ছয় লাখ ৭৫ হাজার টাকাসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে লোকপাহারা দিয়ে সেখানে জুয়ার আসর চালিয়ে আসছিলেন তারা।
এ প্রসঙ্গে জেলা ফুটবল রেফারী এসোসিয়েশনের সাঃসম্পাদক আঃহান্নান মিরন বলেন, এখানে আমাদের কোন সদস্য জড়িত নেই,এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের ৪র্থ শ্রেনীর কিছু কর্মচারী গোপান ভাবে জুয়ার আসর বসিয়েছে।শুনেছি এদের কয়েকজন কে আটকও করা হয়েছে।তবে আমাদের কোন সদস্য জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নিব। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন,উক্ত অনৈতিক কাজের সাথে স্ংস্থার কেউ জড়িত থাকলে কোন প্রকার ছাড় পাবেন না। আর এর সুষ্টু তদন্তের জন্য গতকাল রাত্রে ৭সদস্য একটি কমিটির করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশি অভিযানের পরে মঙ্গলবার রাত্রে চট্টগ্রাম জেলা রেফারী এসো:ও ফুটবল একাডেমী ট্রেনিং সেন্টার টি সিল গালা করে দিয়েছেন বলে তোতোয়ালী থানা সূত্রে জানা গেছ্ । আটক ১৯ জুয়াড়ী কে বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হয়ছে বলে থানা সূত্রে জানাই।
বিগত কয়েক মাস পূর্বেও এই চট্টগ্রাম জেলা রেফারী এসো‘র অফিসে অনৈতিক ও আসামাজিক, জুয়া-মদের আসরের ব্যাপারে চট্টগ্রামের শীর্ষ কয়েকটি দৈনিক ,অনলাইন পত্রিকায় ফলোও করে সংবাদ প্রকাশ হয়ে ছিল। তার পরেও কেন এমন ঘটনা গঠছে তা সচেতন ক্রীড়া সংগঠক,কর্তা ব্যক্তিরা উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।