অনলাইন ডেস্কঃ০৯জুন
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ দেশটির দক্ষিণ–পূর্ব এলাকায় সফরের সময় একজন ব্যক্তি তাকে প্রকাশ্যে চড় মেরেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মি. ম্যাক্রঁ দৌড়ে একটি ব্যারিকেডের দিকে যাচ্ছেন। ব্যারিকেডের অপর প্রান্তে কিছু কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে ছিল তাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।মি. ম্যাক্রঁ তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য সেখানে যাওয়া মাত্র এক ব্যক্তি তাকে চড় মারেন।এসময় প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে সরিয়ে নেয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরে মি. ম্যাক্রঁ এই ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেন।যে ব্যক্তি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে চড় মেরেছেন তিনি চিৎকার করে বলেন, “ম্যাক্রঁ-বাদ নিপাত যাক।”ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চড় মারার কিছুক্ষণ পরে মি. ম্যাক্রঁ আবারো ব্যারিকেডের দিকে আসেন এবং মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরবর্তীতে মি. ম্যাক্রঁ বলেন, “আমি এটা আগেও করেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো। কোন কিছুই আমাকে থামাতে পারবে না।”যে ব্যক্তি মি. ম্যাক্রঁকে চড় মেরেছেন তার পরিচয় এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার নয়। এই দুই ব্যক্তিকে পুলিশ এখন জেরা করছে।
- ফরাসী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ মুসলিমদের বিক্ষোভ নিয়ে যা বললেন
- ম্যাক্রঁকে ‘মানসিক চিকিৎসা’ করাতে বলে ফ্রান্সের রোষানলে এরদোয়ান
- ফরাসী পণ্য বর্জন: আরব দেশগুলোকে বয়কট ঠেকানোর আহ্বান ফ্রান্সের
- ‘বয়কট ফ্রান্স’ বাংলাদেশেও, ম্যাক্রঁর দেশ কি ইমেজ সংকটের মুখে
- ফ্রান্সের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ‘অসম প্রেমের’ গল্প
ফ্রান্সের প্রেসিডেটেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্সি সিকিউরিটি গ্রুপ।এই নিরাপত্তা দলে ৭৭জন নারী-পুরুষ রয়েছে। মি. ম্যাক্রঁ যখন কোন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তখন তারা তাকে নিরাপত্তা দেন।
প্রেসিডেন্ট যখন কোন অনুষ্ঠানে যাবার সিদ্ধান্ত নেন, তার সফরের আগে সে জায়গাটির নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করে এই দলটি। এরপর প্রেসিডেন্টের সফরের সময় তার নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রসহ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
ফ্রান্সের একটি টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, মঙ্গলবারের সফরের সময় মি. ম্যাক্রঁর সাথে ১০জন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁকে চড় মারার ঘটনায় ফ্রান্সের রাজনীতিবিদরা নিন্দা জানিয়েছেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গণতন্ত্র অর্থ হচ্ছে বিতর্ক করা এবং আইনত ভিন্নমত পোষণ করা। এই অর্থ কোনভাবেই সহিংসতা নয়। মৌখিকভাবে আগ্রাসী আচরণ হোক অথবা শারীরিকভাবে আঘাত কখনোই গণতন্ত্র হতে পারে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তথ্য সূত্রঃ বিবিসি,বাংলা০৯/০৬/২১ইং