সংগ্রহে- হোসেন বাবলা:১৩জুন
কোমর জলে নেমে দুই সন্তানকে কোলে নিয়ে চাচীকে খাবার নিতে আসতে হয়েছে। সন্তানের ক্ষুধার যন্ত্রণা দূর করতে এভাবে কত মা ছুটে আসছেন খাবারের আশায়।কেউবা হাসি মুখে আর কেউ চোখের জলে কৃতজ্ঞতা জানায় আপনাদের, ক্ষুধা নিবারণের জন্য।এমন প্রচেষ্টার সহায়তাতে শুধু মাত্র দেশের সর্বত্রই আজ কাজ করে চলেচে একদল তরুণ-তরুণী।
খালি বাটির সাথে এক টাকার কয়েন এগিয়ে দেয় ছোট্ট মেয়েটি। মুহুর্তেই আমাদের দান করার অহংকার মাটিতেই যেন গুঁড়িয়ে গেল।এই প্রতীকি মূল্যের এমন সাইকোলজি আমাদের মাটিতে নেমে কাজ করতে শিখিয়েছে। যাদের জন্য কাজ করবো, তাঁদের কাতারে না এসে বুজবো কিভাবে তাদের মনের কথা?
প্রতিদিন হাজার মানুষের মুখে আহার তুলে দিচ্ছে আজকের এই প্রজেক্ট। ধন্যবাদ সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের যাদের নীরব দান এভাবেই নিভৃতে খুশি বিলিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।একটাকার প্রজেক্ট টিম।
ঢাকার একটি স্পটের খাবার বিতরণের দৃশ্য।মোট খাবারের সংখ্যার ৮০% এক টাকা বিতরণ শেষে জমা দিতে হয় স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীদের। শুধু মাত্র ধর্মীয় কোন আয়োজন হলে কিংবা দূর্যোগের কোন খাবার বিতরণে বিনামূল্যে দেয়া হয় এই খাবার।নীতিগত ভাবে যা মানি, তাই করে দেখাই এবং সেটাই প্রচার করি। সবার সাথে আমাদের মতের মিল থাকবে, এমনটা ভাবা ভুল। কৃতজ্ঞতা দাতাদের যারা এখনো সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন এই প্রজেক্টে। হাসি ফুটাচ্ছেন দরিদ্র শিশুদের মুখে।
হাত পেতে নয়, খাবার কিনে নিতে হচ্ছে এক টাকায়।সামান্য এক টাকায় তফাৎ গড়ে দিতে আমাদের এই “এক টাকায় আহার”।
নিম্ন মধ্যবিত্ত ও ছিন্নমূল পরিবারের মানুষগুলোর আত্মসম্মানবোধ বিবেচনায় জন্ম হয়েছিল এমন উদ্ভট আইডিয়া। “ভিক্ষা করি নি, নগদ টাকা দিয়ে কিনে আনছি” খাবার নিয়ে ফেরার সময় এই কথাটাই কানে বাজবে বারবার।
গ্রুপ করে এসেছে তাঁরা, তবে কোন পার্টি করতে নয়, পথশিশুদের খাবার আয়োজন করতে। সবাই চাঁদা তুলে সে অর্থে খাবার তুলে দিলো শিশুদের মুখে।কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভুল কাজ গুলোই সমালোচিত হয় বার বার। কিন্তু কেউ কেউ চলেন এর উলটা পথে। জানি সাদা মাটা এই কাজ গুলো আলোচনায় আসবেনা। কিন্তু আমরা এখনো আশায় থাকতে চাই তাঁদের নিয়ে।তরুণ প্রজন্মকে ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করতে দরকার কাজের সুযোগ তৈরী করে দেয়া।
পছন্দের মেন্যুতে আহার করছে দুই শিশু।ভিক্ষা করে নয়, মাত্র এক টাকায় কিনে নিয়েছে এই খাবার।কখনো মুরগী, কখনো ডিম, কখনো খিচুড়ি থাকে কাগজের এই ছোট্ট বক্সটিতে। কোন রেস্টুরেন্ট থেকে নয়, বরং স্বেচ্ছাসেবকরা নিজেরাই রান্না শেষে প্যাকেট ভর্তি করে খাবারে। মসজিদ মন্দিরে খাবার দেয়ার আইডিয়া থেকে আজকের এই খাবার প্রজেক্টের জন্ম। এখন শুধু আমরা নই, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আজ অনেকেই খাবার বিতরণ করে পথে পথে। খাইয়ে খাইয়ে কি হবে? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে আজ অনেক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এক কাতারে।
ডাস্টবিনের পাশে পঁচে যাওয়া আমের স্তূপ থেকে সংগ্রহ করে মিষ্টি ফলের স্বাদ নেয় ছিন্নমূল কিছু শিশু। সে শিশুদের পাকা আমের স্বাদ উপহার দেয়ার কাজ করছি নিয়মিত।আরও ১৭০০ কেজি আম কেনা হয়েছে বস্তির এসব দরিদ্র শিশুদের জন্য। আর নিয়মিত সে আমগুলোই বিতরণে ব্যস্ত বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবকরা।অনেকেই গরীব মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চান, কিন্তু বুজতে পারেন না কিভাবে এক্সেস পাবেন অভুক্ত মুখগুলোর। আমরা সেখানে সেতু হয়ে কাজ করার চেষ্টা করে যাই সারা বছর ধরে।
এই মহৎ কাজের মানুষ ওমানবিক সংগঠন কে যারা সহায়তা করছেন বা করবেন তারা অবশ্যই তাদের পাশে থেকে এই কাজটির অংশীদ্বার হতে পারেন গর্বিত একজন বীর মানব। একটাকায় আহার নামে এফবি ফেইজ থেকে কার্ট-শার্ট করে কথা গুলো নিয়ে ভিন্ন টাইফের নিবন্ধ/ফিচার টি প্রকাশ করলাম ।
Discussion about this post