বাড়তি ভাড়া না দেয়ায় যাত্রীর মাথা পাঠালেন গাড়ীর হেলপার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ১৪জুন

নগরীর বাদুরতলা   এলাকা থেকে বহদ্দারহাট পুলিশ বক্স পর্যন্ত যাত্রীর গন্তব্য । দূরত্ব আনুমানিক ১ কিলোমিটার।  সাধারণ সময়ে ভাড়া ৫ টাকা। কিন্তু গাড়ির হেলপার ১০ টাকা দাবি করেন। তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় যাত্রীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেন হেলপার।

রোববার (১৩ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এ ঘটনার একটি ভিডিও। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি শনিবার (১২ জুন) দুপুরে নগরের বহদ্দারহাট মোড় এলাকার।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি গাড়ির দরজায় মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। তার মাথা ফেটে রক্ত ঝড়ছে। গাড়ির যাত্রীরা হেলপারকে ধরার চেষ্টা করছেন। গাড়িটি নগরের কালুরঘাট থেকে নিউ মার্কেট (১নম্বর রুট) পর্যন্ত চলাচল করে। গাড়ির নাম্বার চট্টমেট্রো চ: ১১-২৩১৪।

ঘটনাস্থলে থাকা ও  যাত্রী  মেহেদি  বলেন, লোকটি কাছাকাছি দূরত্বেই নেমে গিয়েছিলেন। ৫ টাকা ভাড়া দেওয়ার পর গাড়ির হেলপার তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। পরে লোকটি গাড়ি থেকে নেমে যাওয়া সময় হেলপার দৌড়ে গিয়ে গাড়ি পরিস্কার করার ব্রাশ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে।

মেহেদি আরও বলেন, প্রায় প্রতিদিনই এই রুটে ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। ঘটনার দিনও গাড়িতে যাত্রীর সংখ্যা বেশি ছিল। প্রতি সিটে দুইজন করে বসেছে। আবার দাঁড়িয়েও ছিলেন অনেকে। তারপরও তারা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছিল। সাধারণত ভাড়া ৫ টাকা হলেও সরকারের ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধিতে ৮ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু এই রুটের প্রতিটি গাড়িতেই দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত এস.আই অধীর চৌধুরী  বলেন, গত পরশু ও একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সবগুলোই ভাড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। যাত্রীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা আমার নজরে আসেনি। তবে লোকমারপতে শুনতে পেরেছি।

এদিকে এই ভাড়া নিয়ে প্রতিনিয়তই বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা গামী আবার শহরগামী নিয়মিত যাত্রীদের সাথে  ঝগড়া লেগেই থাকে। সরকারী ঘোষনা মতে, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ৬০% ভাড়ায় যাত্রীরা চলাচল করবে। কিন্তু প্রকৃত সত্য যে, ডাবল সিটি  বসা যাত্রী আর দাড়িঁয়ে যাত্রী চলাচল করতে ডাবলের চেয়ে বেশী ভাড়া দিয়ে।

বিগত৩/৪মাস যাবত এই পরিস্তিতি কেউ যেন দেখে না। আবার প্রতিবাদ করলে গাড়ী থেকে নেমে যাবার হুমকি তো আছেই। করোনায় মানুষের যান যেখানে যাই যাই, সেখানে গণপরিবহণের এই অবস্থা যেন মরার উপর খরার ঘা অবস্থা।  বিষয় টি দ্রুত সমধা না হলে আরো বড়ো ধরনের অঘটন ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।