বিনোদন নিউজঃ১৫জুন
তিন দিন আগেই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ঘটনা জানিয়েছিলেন পরীমনি। ঢালিউড তারকার অভিযোগ, সেই সময় অভিভাবকতুল্য এই সংগঠনের কাছ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা পাননি। তবে শিল্পী সমিতির নেতাদের দাবি, পরীমনি তাঁদের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। পরীমনির এই ঘটনায় চলচ্চিত্রের অন্য সংগঠনগুলোরও তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির নেতারা বলছেন, শিল্পী সমিতির ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
বৃহস্পতিবার রাতেই কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির অফিসে যান পরীমনি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময় পরীমনি মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। সব শুনেও কোনো পদক্ষেপ নেননি জায়েদ খান, গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগই করেছেন পরী। অভিযোগের জবাবে জায়েদ খান জানান, ‘আমরা সব সময় শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করছি।
সেদিন পরীমনির কথা শুনে বলেছিলাম সংবাদ সম্মেলন করতে। তখন সে রাজি হয়নি। সুরাহার কোনো সুযোগ না দিয়ে আমাদের নামে উল্টো অভিযোগ করছেন।’ জায়েদ খানের দাবি, পরে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও পরীমনি তাঁর ফোন ধরেননি।
অতীতে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে শিল্পীরা কোনো বিপদে পড়লে বা কোনো বিষয় নিয়ে অভিযোগ করলে পাশে থেকে তাঁদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। চলচ্চিত্রের অন্য সংগঠনগুলোক পাশে থেকেছে। তাহলে পরীমনির সাম্প্রতিক ঘটনায় চলচ্চিত্র সমিতিগুলো চুপ কেন? চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমি শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম।
শুনেছি পরীমনি অফিসে এসেছিল। সেই সময় সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। সে পরীমনিকে বলেছিল লিখিত অভিযোগ করতে। সে লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। তাকে আমরা বলেছি আইনের আশ্রয় নিতে। আমরা সংগঠন থেকে সব সময় তার পাশে রয়েছি। তার ব্যাপারে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।
একজন সহযোদ্ধা হিসেবে সে অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবে।’ এ ঘটনায় সরাসরি বা ফোনে পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কি না, জানতে চাইলে মিশা বলেন, ‘আমি টানা শুটিং করছি। সংগঠন থেকে তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করে তাকে আমি রিচ করতে পারিনি।
পরীমনির ঘটনায় মর্মাহত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, পরীমনি ঘটনাটি তাঁদের আগে জানালে তাঁরা ব্যবস্থা নিতে পারতেন। তিনি বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। পরীমনি বলে কথা নয়, কোনো নারীর ওপর এ ধরনের হয়রানি ন্যক্কারজনক।’ এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরও সরাসরি বা ফোনে সংগঠনের পক্ষ থেকে কেউ পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন সুমন বলেন, ‘আমরা গতকাল সন্ধ্যায় পরীমনির ঘটনাটি জেনেছি। আগে আমাদের কেউ জানায়নি। এখন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি তাদের শিল্পী পরীমনিকে নিয়ে কী ভূমিকা রাখছে, সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি। পরে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠন থেকে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা যেকোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’ তবে নিজে থেকে এখনো তাঁরা পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
গতকাল থেকেই চুপচাপ প্রযোজক নেতারা। এ ঘটনায় এখনো তাঁরা তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। সাবেক বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, ‘প্রযোজক দিয়েই একজন অভিনয়শিল্পী তৈরি হন। তাঁদের সুরক্ষা দেওয়াও আমাদের দায়িত্ব। পরীমনি এমনকি অন্য কেউই আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই।’
সূত্র:প্রথম আলো, ছবি-পরিমনির এফবি থেকে সংগৃহিত
Discussion about this post