নগরীর বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রীজ সংলগ্ন সেল সেন্টারের সামনে একটি বাসায় আটকে রেখে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গার্মেন্টেসে চাকুরি ও বিয়ের আশ্বাসে প্রলোভন দেকিয়ে সু-কৌশলে বাড়ি থেকে নিয়ে গত ১৩জন মোঃ আরাকান মিয়ার বিবাহ যোগ্য মেয়ে কে মোঃ জসিম (২৭) ও তার সহযোগীরা জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ভিকটিমের পিতা আরাকান মিয়া র্যাব-৭ কে অভিযোগ করলে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র কে শহরের ফ্রিপোর্ট এলাকায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান করে মোঃ জসিম (২৭) সহ তার সহযোগিদের আটকরেছেন বলে র্যাবের মিডিয়া অফিসার মোঃ নূরুল আবছার সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছেন।
ভিকটিমের পিতা আরাকান র্যাবের কাছে লিখিত ভাবে আরো জানাই , তার মেয়েকে চট্টগ্রামের ফ্রিপোর্ট গার্মেন্টেসে চাকুরি ওমোটা অংকের লোভ দেখিয়ে ধৃতরা নতুন ব্রীজ এলাকার টি বাসায় আটকিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগ করেন।এসময় ভিকটিমের (মেয়ে ছন্দা -২১) ছদ্ম নাম কে প্রাণনাশের হুমকি,খারাপ দুশ্য ভিডিও তুলে নেটে ছড়িয়ে দেওয়ার তীব্র ভীতি দেখিয়ে জসিম ওঅপর সহযোগি তার শ্লীলতানী ইজ্জত নেন।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভিকটিমকে উদ্ধার ও ধর্ষণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়াতদন্ত শুরু করে।ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে র্যাব-৭ জানতে পারে যে, ধর্ষণকারীরা ভিকটিমকে চট্টগ্রামের নতুন ব্রীজ এলাকার টি বাসায় আটকে রেখেছে। গত ১৫ জুন ,রাত্রে র্যাব এর একটি চৌকস টিম বর্ণিত স্থানে অভিযানে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা আসামীদের আটক করে।
ধৃতরা হলে ১। মোঃ জসিম উদ্দিন (২৭), পিতা-মৃত মোহাম্মদ আলী, সাং-ছনুয়া, মধুখালী, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম, ২। মোঃ নুরুল আজিম (২৮), পিতা-মোঃ ইজ্জত আলী, বাঁশখালী ,চট্টগ্রাম ৩। মোঃ জাবের আহাম্মদ (৪৮), পিতা-মৃত ফরিদ আহাম্মেদ সাং-পাথরঘাটা, ওমর আলী মার্কেট কোতয়ালী ,চট্টগ্রাম এবং ৪। মোহাম্মদ নবী (২২), পিতা-মোঃ আবু তাহের, সাং-পূর্ব চাম্বল, হায়দারি পাড়া, বাঁশখালী দের আটক করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিমকে মিথ্যা বিবাহের ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আটকে রেখে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। আসামি ও উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাকলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব-৭, পতেঙ্গা সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
Discussion about this post