বিশেষ প্রতিবেদনঃ২১জুন
বন্দরনগরীর অত্যন্ত ব্যস্ততম গার্মেন্টস শিল্প ,রাষ্ট্রিয়ত্ব শিল্প কারখানা এলাকা সিইপিজেড । এখানে বর্তমানে এলিব্রেড এক্সপ্রেস ও হাইওয়ে রিংরোড এবং কর্ণফুলী টানেল সংলগ্ন ৪লেইনের সংযোগ রোডের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
তা শর্তেও গার্মেন্টস শিল্প ,রাষ্ট্রিয়ত্ব শিল্প কারখানা এবং অন্যান্য ভারী-মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান সহ বিশাল সৈকত পর্যটন এলাকা(সী-বিচ) রোডের যাতায়াত এই পথেই । এর ফলে হাজার হাজার জনগণের প্রতিদিনের চলাচলে অত্যন্ত ব্যস্ত হওয়াতে কোন সমস্যা হলেই দীর্ঘ জ্যামে গণমানুষের জীবণ ধারণ দিন দিন নার্ভিশ্বাস হচ্ছে।
সারাদিন হাড়ভাঙ্গা কাঠুনীর পর যদি ২/৩ ঘন্টা যানযট ও সামান্য বৃষ্টির জলযট কিংবা সড়ক মেরামতের জন্য গাড়ীর জ্যামে তীক্ত-বিরক্ত পোহাতে হয়, তাহলে সুষ্ঠভাবে বেঁচে থাকাও কঠিন হবে বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন।
এসমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে নাগরিক সমাজ, গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিক, সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা জনদূর্ভোগ থেকে রেহায় পেতে বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা চালু, কারাখান আগ-পিছ করে ছুটী এবং এলাকার দূরত্ব বিবেচনা করে ছুটি ও অন্যান্য সমস্যা দেখে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ সহ চসিক, ওয়াসা, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কে সমন্বয় করে উন্নয়ন কাজ করতে অনুরোধও জানান।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার নাগরিক সমাজ, বন্দর-পতেঙ্গা নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম , মানবাধিকার সংগঠন গুলো বিগত কয়েক বছর ধরে মানববন্ধন, সেমিনার, জেলাপ্রশাসন, সিটি মেয়র ,ওয়াসা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পান নি। ফলশ্রুতিতে জন ভুগান্তি দিনদিন প্রকট হচ্ছেই।
বর্ষার দিনে জল,শীতের দিন ধুলাবালি,রোদ্রকালে উন্নয়ন কাজের সিমেন্ট(গ্যাস) উড়ানো, আর চসিকের ময়লা উত্তলোন কালে কাল ডাস৩/৪দিন সড়কে সরিয়ে-ছিটেয়ে পড়ে দূগন্ধ সহ তীব্র ময়লার ভাগাড়-স্তুপ জমে থাকা সহ অনেক প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হচ্ছে নিরীহ পথচারীদের। বৃষ্ঠির জলে প্রতিটি অলি-গলিতে মলের সয়লাব আর আবর্জনার ভাসমান দীপ দৃশ্য…! যেন জলে আর মলে একাকার।
নালা-নর্দমা ড্রেন উপচে ময়লা পানি মূল সড়কে থৈথৈ করছে আর আবর্জনার সারি সারি ডাস পায়ে পায়ে তুল খাই। কিছুদিন আগে জনউদ্যোগ নামে একটি সংগঠন এসব নিয়ে কথা বল্লেও তাদের কাজ্য সিদ্ধ শেষ হলে আর জনগনের কথা বলতে নাই।
এছাড়া মহামারি করোনাতে জনগণ এমনিতে শারীরিক ভাবে ভালো নেই..!সুস্থ্য থাকার প্রথম শর্ত হচ্ছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। কিন্তু এই আবর্জনার জনজালে কেউ কি সুস্থ্য থাকতে পারেন….?
তাই, হাজার হাজার বাসিন্দার কথা বিবেচনা করে এই ওয়ার্ডের জন প্রতিনিধিরা সমন্বয় করে যানচল, জলযট তথা বৃষ্টির সামন্য পানির জলাবদ্ধতা কিভাবে দূর করা যাই, তার সঠিক সমধা দিয়ে আপময় জনতা কে কিছুটা সস্তি দানে অনুরোধ জানাচ্ছি।
———————-ভুক্তভোগি জনগণের পক্ষে-মুঃবাবুল হোসেন বাবলা,চট্টগ্রাম্ ।২১/০৬/২০২১ইং(বিকেল)
Discussion about this post