প্রতিনিধির খবরঃ২২জুন
করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় এ উপজেলাকে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। কাল ২৩ জুন বুধবার রাত ১২ হতে ৩০ জুন পর্যন্ত ফটিকছড়ি উপজেলায় সর্বাত্বক লকডাউন চলবে। মঙ্গলবার ২২ জুন বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সম্প্রতি সময়ে ফটিকছড়ি উপজেলায় করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহে ১৯৬জন করোনা রোগী চিহ্নিত করেছে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। করোনা রোগী বৃদ্ধির এই হার বাড়তে থাকলেও জন সচেতনতা নেই মোটেও। এনিয়ে সচেতন মহলেও উদ্বেগ জানিয়েছেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ২২ জুন শনাক্ত হয় ১১ হন, ২১ জুন শনাক্ত হয় ২১ জন, ২০ জুন ৩০ জন, ১৯ জুন ১৬ জন। এভাবে বিগত এক সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছে ১৮৫ জন করোনা রোগী। বিগত দুই সপ্তাহ যাবৎ এখানে করোনা রোগী সনাক্তের হার বৃদ্ধি পেলেও গতকাল পর্যন্ত ফটিকছড়ি কোভিড় হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছিল ২৪ জন মাত্র। বাকী রোগীরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পেলেও হাট বাজারে, গণ পরিবহনে জনসচেতনাতা নেই মোটেও। অধিকাংশ স্থানে লোকজনকে মাস্ক পড়তে দেখা যায় না। এ ব্যাপারে গত দুই দিন বিভিন্ন স্থানে করোনা সচেতনা না মানার কারণে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন ফটিকছড়ি সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিসান বিন মাজেদ। ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাবিল চৌধুরী বলেন, দুই সপ্তাহ যাবৎ করোনা সনাক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল রোগীদের নিয়মিত খোজ খবর নেয়া হচ্ছে। তবে মারাত্মক পর্যায়ে কোন রোগী এখানে নেই। আমরা নিয়মিত জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখছি।