নিজস্ব প্রতিবেদকঃ২৩জুন
নগরীর অত্যন্ত ব্যস্ততম ও ঘনবসতি পূর্ণ এই দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড টি । সরকারী তথ্যমতে প্রায় ১লাখ ২৯হাজার ভোটার,৬লাখের অধিক জনগনের বসবাস ছোট্ট শহর নামক গ্রামে। নানা বিদ সমস্যায় দীর্ঘদিন এলাকার জলাবদ্ধতা যেন কিছুতে যাচ্ছে না।
বছর দুয়েকের মধ্যে ২/৩বার ওয়ার্ডের অলি-গলিতে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও খাল-নাল ড্রেন দিয়ে কিছুতেই পানি সরছে না। বিষয়টি গত ২/৩দিন আগে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
যার জন্য স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা সংবাদ মাধ্যম কে আরো জানাই, ড্রেন-নালা,নর্দমা উচু করলে কি হবে পানি প্রবাহিত হবার খাল তো পুরাদমে জ্যাম আর মাঝে মাঝে বাঁধ ও প্রধান ড্রেন গুলোতে ওয়াসার অবৈধ পাইপ,নল ওঠিকাদারী কাজের ইট,বালি,কংকর ওসিমেন্ট দিয়ে ভরাট ।
এছাড়া খালের উপর একাধিক স্ল্যাভ,গ্যাস লাইন-পাইপ আর খালের পাড় দখল করে অবৈধ টং দোকান, ক্যারাম বোর্ডঘর,সবজির বাজার, মিনি কাচাঁবাজার, রিক্সার গ্যারেজ এবং ইট-বালির ব্যবসার স্টল।অনেক ব্যবসায়ী নিজেদের দোকানের সারাদিনের ময়লা, বাসাবাড়ী, স্থানীয় বাড়ির ওভাড়া ঘরের নিত্য ব্যবহার্য্য্য ময়লা-আবর্জনা সরাসরি ড্রেন-নালা, খালে ফেলাতে ময়লার স্তপ জমে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।
আর সন্ধ্যায়/ বিকেলে চসিকের পরিচ্ছন্ন-সেবকরা ময়লা নিতে গিয়ে এই দৃশ্য দেখেও কাউন্সিলর বা চসিক কর্তাদের জানান না, ফলশ্রুতিতে সামান্য বৃষ্টি কিংবা জোয়ারের পানি/ নিত্য ব্যবহার্যয্য পানি জমে অস্থায়ী জলাবদ্ধতা (বর্ষা হলে স্থায়ী জলাবদ্ধতায়) রূপ নেয়। আবার অনেক প্রভাবশালী ড্রেন-নালা ওখালের উপরে বির্ল্ডিং ,ঘর-স্থাপনা তৈরি করে পানি চলাচলের তীব্র প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি করেছেন।
এই বিষয় গুলো উচ্ছেদ করতেই আজ বুধবার(২৩জুন) সকাল থেকে হাসপাতাল গেট-বন্দরটিলা সিইপিজেড সংযোগ(জেলে পাড়া) রোডের আাশ-পাশে এবং শহীদ নুরজ্জামান সড়কে, আলীশাহ নগর এবং রেললাইন পাশের ড্রেনের উপর অবৈধ ঘর, দোকান,ভাড়াবাসার দেয়াল কা উন্সিলর জিয়াউল হক সুমন নিজে উপস্থিত থেকে ভাঙ্গা হয় অবৈধ অংশের স্থাপনা সরাতে নাগরিকদের দৃঢ় অনুরোধ জানান।
সকাল থেকেই ৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জিয়াউল হক সুমন দফায় দফায় অভিযান করেও কিছু মহলের স্থাপনা সরাতে না পারাই ড্রেন ওখালের অংশ পানি জমে নিচু এলাকা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে কাজীর গলির আঃজলিল মালুম বাড়ী , আব্দুল মিয়াজীর বাড়ী রোডটি সংস্কার করেছে মাত্র ১-দেড় বছর হল।
এখন সেখানে ড্রেনের ময়লা পানি জমে থাকে প্রতিনিয়তই। বাসিন্দারা জানায়, মূল খালের বাঁধ- ময়লা জমে থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধার কষ্ট থেকে রেহাই পাচ্ছে না। পানি জমে এলাকার অত্যন্ত প্রাচিনতম জামে মসজিদ (সিমেন্ট ক্রসিং জামে মসজিদে) নিচের তলায় নামাজ-ইবাদত করা দুঃসাথ্য। আসলেই এলাকার সকল নালা-ড্রেন দিয়ে পানি মোটেও নামছে না বা খাল হয়ে সাগরের দিকে যাচ্ছে না।
এই বিষয়গুলো সুষ্ঠ সমাধা করে কাউন্সিলর সুমন এলাকার জলাবদ্ধতা দূরী করণে সকলের সহায়তা নিয়ে আপাদত নিচু এলাকার পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করতে প্রায়৬০-৬৫জন সদস্য নিয়ে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ সহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলমান রাখবেন বলে জানা্য়। এলাকার উন্নয়নে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন।
উচ্ছেদ অভিযানে চসিকের পরিচ্ছন্ন সুপারভারজার সহদেব সাহা, সহকারী সুপারভারজার মোঃ ফখরুল ইসলাম, কাউন্সিলর পরিষদের সদস্য-মোঃইলিয়াছ, লোকমান হাকিম, সেলিম রেজা, হাজী সাহাব উদ্দিন, হাজী আক্কাস সওঃ, আশিষ, আজিজ, দীপু ,ইয়াছিন সহ দলীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিচ্ছন্ন সুপারভারজার সহদেব সাহা বলেন, এই অভিযান দখল উচ্ছেদ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।
Discussion about this post