মুক্তখবর24.কমঃ- রাশেদুল আজীজঃ করোনার তীব্রতার ঢেউয়ের আঁচড় বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক একটি মোটা দাগের স্বাক্ষর রাখে। বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতি থেকে আলাদা কোন রাষ্ট্র নয়।
করোনাকালীন সময় বাংলাদেশকে একপ্রকার অপ্রস্তুত অবস্থায় মোকাবেলা করতে হয়। বিপুল জনগোষ্ঠীর এই দেশে বিভিন্ন পেশার নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষ দিনে এনে দিনে খাওয়া।
মানুষজন তার পেশায় আর থাকতে পারছেনা,শহরে থাকতে হলে তাকে যে পরিমান দৈনিক আয় রোজগার করতে হয় তা করোনার কারণে পেরে উঠছে না।এমতবস্থায় তাকে হয় শহর ছাড়তে হচ্ছে নয়তো আরও দরিদ্রসীমার নিচে নেমে যেতে হচ্ছে।
করোনার চলমান সময়ে নিম্নবিত্ত মানুষ তাদের পেশা বদল করেও সুবিধা করতে পারছেনা।করোনার এ সংকট কালে নিম্নবিত্ত মানুষগুলো তাদের পরিবার নিয়ে টিকে থাকায় যেন এক মহা চ্যালেঞ্জ।
এ প্রতিবেদক শহরের নিম্নবিত্তের বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারে তাদের দিনাতিপাত করা, টিকে থাকার সংগ্রামের চাপা বেদনা।
অমিজন বিবি বলেন, ব্যাচেলর বাসায় রান্না করে আয় করতাম,সংসারে স্বামীকে সাহায্য করতাম। স্বামী রিকশাচালক কিন্তু করোনার কারনে ব্যাচেলররা বাসাবাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়াতে সে রোজগারের পথ বন্ধ তাই সংসারের অভাব আর ঘুচে না।
ভ্যান চালিয়ে জীবিকা ও সংসার চালাতেন আবদুল শুক্কুর।মার্কেটগুলোতে আগের মতো বেচা বিক্রি না থাকায় আগের মতো রোজগার নেই, তাই সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান।
ফুটপাতে মৌসুমি ফল বিক্রেতা সবুর বলেন, করোনার কারনে মানুষ আর আগের মতো ফলমূল খরিদ করেনা, মানুষের আয় রোজগার কমে গেছে,আমাদেরও বেচা বিক্রি কম।তাই সংসারের অভাব মেটাতে আমাদেরও কষ্ট হয়।
বাসের হেলপার আমজাদ বলেন,করোনার কারনে আমাদের বেঁচে থাকাটাই এখন বড় চিন্তার বিষয়।স্ত্রী সন্তানকে দেশের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে, শহরে এখন একাই থাকি।
২০১৯অর্থ বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাএা ৮ শতাংশের উর্ধ্বে থাকলেও অর্জিত হয়েছে ৫.২৪ শতাংশ যা বৈশ্বিক তুলনায় সন্তোষজনক বলা চলে।মাথাপিছু আয় সরকারের অবশ্য প্রত্যাশা ৮.২ %। তবে বছর শেষে করোনার যে অবস্থা সে ক্ষেত্রে জিডিপি ৬ শতাংশ অতিক্রম করাও কঠিন হবে।
জানা যায় এলাকার ভাসমান পেশায় নিয়োজিত মানুষ জন কাজের অভাবে পেশা বদল করেও সংসার এবং নিজের জীবিকা চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।