পটিয়া প্রতিনিধি::২৪জুন
পটিয়া উপজেলার বৈলতলী রোড এলাকায় ফেরদৌসী কাজল (৩৮) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ জুন) সন্ধ্যা ৬ টায় পটিয়া পৌর সদরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বৈলতলী রোড এলাকায় কবির আহমদ ড্রাইভারের ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি ঠাগুরগাঁও জেলার আবু সৈয়দের স্ত্রী এবং উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটিখাইন গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় ভবনটির তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে ফ্যানের সাথে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে গৃহবধূর ফেরদৌসী। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মেয়ে নীলা দাবি করেন, ‘মা আগে থেকেই একটু রগচটা ছিলো। কিছুদিন ধরে তিনি মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। এক বছর আগে বাবার সাথে মায়ের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়। মঙ্গলবার রাতে ঘুমের ঔষধ খাওয়ায় আমরা মাকে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় নিয়ে আসি। বুধবার তিনি ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁছিয়ে আত্মহত্যা করেন। তখন আমরা বাসায় ছিলাম না।’
বিষয়টি নিশ্চিত করেন পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার। তিনি বলেন, কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা এখনো পুলিশ নিশ্চিত নয়। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে মহিলার স্বামীর সঙ্গে এক বছর আগে ডির্ভোস হয়। তাদের সংসারে আর্থিক সমস্যা ও পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে গত পরশু(মঙ্গলবার) ভোরে পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউপির কাশেম ব্রিক ফিল্ডের নিকট থেকে গাছে ঝুলন্ত নৈশ প্রহরী লাশ উদ্ধার করে ছিল পুলিশ। এই নিয়ে ১দিনের ব্যবধানে দুজনের মরদেহ উদ্বোর করলো পটিয়া থানা।