মিরসরাই প্রতিনিধি:২৮জুন
মিরসরাই পৌরসভার প্যানেল মেয়র ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাখের ইসলাম রাজুকে গ্রেফতার করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ। আজিম হোসেন শাহাদাত হত্যা মামলায় গতকাল রাতে মিরসরাই পৌর এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁকে মিরসরাই থানা হাজতে রাখা হয়েছে। তবে থানা পুলিশ তাকে কোথা থেকে কোন সময় গ্রেফতার করেছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করছে না।
পুলিশের একএক কর্মকর্তা এক এক রকম তথ্য প্রকাশ করছেন। কেউ বলছেন রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে আবার কেউ বলছেন সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউন্সিলর রাজুর সাথে আরো দু-একজনকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করলেও তাদের নাম পরিচয় প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান।
জানা যায়, গত শুক্রবার (২৬ জুন) আজিম হোসেন শাহাদাত (২০) নামের এক যুবককে রাজুর মালিকানাধীন মিরসরাই পৌরসভার হোপ মা ও শিশু হাসপাতাল ভবনের ৬ষ্ট তলার একটি টর্সার সেলে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় রাজু ও তাঁর তিন সঙ্গীকে আসামি করে শুক্রবার রাতেই মিরসরাই থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত শাহাদাত হোসেনের বাবা আবদুল বাতেন। মামলায় ছেলেকে ছোখের সামনে পিটিয়ে হত্যার বিবরণ সহ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, নিহত আজিম হোসেন শাহদাতের (২০) পিতা আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় রাজুকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। প্রধান আসামি শাখের ইসলাম রাজু সহ আরো একাধিক ব্যাক্তিকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে অন্য আটককৃতদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
পুলিশ সুপার এসএম রাশেদুল হক জানান, গ্রেফতার কৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে আশা করছি হত্যার মূল রহস্য ও কারন সম্পর্কে জানা যাবে।
মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের একাদিক নেতৃত্বাধিন নেতা জানান, শাখের ইসলাম রাজু একসময় পুলিশের এএসআই হিসেবে চাকরী করতো তার অনৈতিক কাজের জন্য তাকে পুলিশের চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পুলিশের চাকরি থেকে এসে শাখের ইসলাম রাজু মিরসরাই রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে শুরু করে।
অল্প সময়ের মধ্যে সে একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী বাহীনি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। সেই সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রভাবে ভোট কেন্দ্র দখল করে পর পর দুইবার কউন্সিলর নির্বাচীহত হয়। তার প্রতিদ্ধন্ধীতা করায় এক আওয়ামীলীগ নেতার দুই পা ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনা ও রয়েছে।
সেই ঘটনায় ও তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে। তার অর্থ ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে প্রশাসন তাকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি। কাউন্সিলর রাজু তার সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করে পাহাড়ী সরকারী বন উজাড় করে চোরাই কাঠ ও মাদকের ব্যবসার স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে।
সে আওয়ামী রাজনীতির নাম করে মিরসরাইতে অপরাধের রাজত্ব কায়েম করেছে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে মিরসরাই রাজনীতিকে কলঙ্ক মুক্ত করা হবে।
Discussion about this post