ডেস্ক রিপোটঃ০৫জুলাই
মানুষের অত্যাচারে প্রকৃতি রুদ্র হয়ে উঠেছে। প্রকৃতির রুদ্র আচরণ থেকে পরিত্রাণের জন্য ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ জরুরি। গাছপালা নাথাকলে পরিবেশ উষ্ণ হয়ে উঠতো। পৃথিবী মরুভূমি হয়ে উঠতো। ফলেমানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হতো। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে গাছেরভূমিকা অনস্বীকার্য। ভারসাম্যমূলক প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য দেশের মোট ভূমির অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৭ শতাংশ। তবে বেসরকারী সংস্থাগুলো বলছে, তার চেয়েও কম।
কোথাও কোথাও উঠে এসেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৯ শতাংশ। যেসময় পরিবেশের ভারসাম্য বিঘিœত হয় তখন আমাদের মতো পরজীবী প্রাণী ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায়। তাই সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সরকার বিভিন্ন দাতা সংস্থার সহযোগিতায় প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি গাছ লাগানোর গুরুত্ব ও বৃক্ষ কর্তন সম্পর্কেও আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। বৃক্ষ নিধনরোধে জনসচেনতামূলক একটি স্লোগান আছে, ‘একটি গাছ কাটলে যেন দুটি গাছ লাগানো হয়’।
কিন্তু সর্বত্র চলছে এর বিপরীত! যেখানে তিনটি গাছ কাটা হচ্ছে সেখানে লাগানো হচ্ছে একটি গাছ! তাও অপরিকল্পিত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জায়গা স্বল্পতার অযুহাতে গাছ লাগানোই হচ্ছে না। বর্তমানে শহর অঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপক হারে নির্বিচার বৃক্ষ নিধন হচ্ছে। রেহাই পাচ্ছে না সরকারি প্রতিষ্ঠান ও রাস্তার ধারের গাছগুলো।পরিবেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের মধ্যে বৃক্ষ অন্যতম। গাছপালা বিভিন্ন উপায়ে অজান্তে আমাদেরই সহায়তা করে।
তীব্র রোদ্রের সময় ছায়া দেয়। বৃষ্টিপাত রোধ এবং মাটির ক্ষয় রোধে সহায়তা করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়ায়। পরিবেশ রক্ষার জন্য গাছ লাগানো অতীব জরুরি। এসব নানা কিছু বিবেচনাপূর্বক, প্রথমত সরকারকে সরকারি বৃক্ষ নিধন ও পাচার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মুহাম্মদ নুর রায়হান চৌধুরী,চট্টগ্রাম,Mdr59235@gmail.com
Discussion about this post