নিজস্ব প্রতিবেদকঃ১১জুলাই
চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে মর্ডানা ও সিনোফর্মের ১ লাখ ৮৪ হাজার ডোজ কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন চট্টগ্রামে চতুর্থবারের মতো এসে পৌঁছেছে আমেরিকার তৈরী করোনাভাইরাস প্রতিষেধক মর্ডানা এমআরএনএ ও চীনের তৈরী সিনোফার্মের ১ লাখ ৮৪ হাজার ডোজ কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন।
তন্মধ্যে মর্ডানার ২২ কার্টুন ও সিনোফার্মের ৯৮ কার্টুন ভ্যাকসিন রয়েছে। মর্ডানার প্রতি কার্টুনে ৪’শ ভায়াল ও প্রতি ভায়ালে ১০ ডোজ করে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৬’শ ডোজ এবং সিনোফার্মের প্রতি কার্টুনে ৪’শ ভায়াল ও প্রতি ভায়ালে ২ ডোজ করে মোট ৭৮ হাজার ৪’শ ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। আগামী ১৩ জুলাই মঙ্গলবার থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। মর্ডানার ভ্যাকসিন মহানগরীর ৯টি কেন্দ্রে ও সিনোফার্মের ভ্যাকসিন উপজেলা পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনকারীদের মাঝে প্রয়োগ করা হবে। যাদের বয়স ৩৫ বছর থেকে অধিক তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে ভ্যাকসিন গ্রহন করতে পারবে।
আজ ১১ জুলাই রোববার সকাল ৭ টায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ফ্রিজার ভ্যানে করে আসা মর্ডনা ও সিনোফার্ম মিলে মোট ১২০ কার্টন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
এরপর ভ্যাকসিনগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে ওয়াক-ইন-কুলারে (ডবিøউআইসি) ২ থেকে ৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়।
এসময় ভ্যাকসিন গ্রহণ কমিটি সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক সালমা ছিদ্দিকা, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ হামিদ আলী ও কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান মোঃ জাফর উল্লাহ। ভ্যাকসিন তদারকিতে ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্তাবধায়ক সুজন বড়–য়া, জেলা ইপিআই টেকনোলজিস্ট কাজল কান্তি পাল, বেক্সিমকো ফার্মার ইনস্টিটিউশন অফিসার মোহাম্মদ ওয়াহিদ ও সিনিয়র স্টোর ম্যানেজার মোহাম্মদ মহসীন।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো আমেরিকার তৈরী মর্ডানার ১ লাখ ৫ হাজার ৬’শ ডোজ ও দ্বিতীয় বারের মতো চীনের তৈরী সিনোফার্মের ৭৮ হাজার ৪’শ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম দফায় পাওয়া সিনোফার্মের ৯১ হাজার ২’শ ডোজ ভ্যাকসিন থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশনকারীদের মধ্যে যারা এখনো সিনোফর্মের প্রথম ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন গ্রহন করতে পারেনি তাদেরকে আগামীকাল ১২ জুলাইয়ের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে প্রথম ডোজের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে দ্বিতীয় ডোজের জন্য ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হবে।
Discussion about this post