বিশেষ প্রতিবেদন ঃ১২ জুলাই
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কঠোর লকডাউন চলাকালীন নিন্ম আয়ের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এ কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রীসহ নগদ অর্থ বিপন্ন পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, জনগণের দুঃখ কষ্ট লাঘবে সরকার সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে ও থাকবে।
কোভিড–১৯ এর সংক্রমণের হার উর্ধ্বমূখী তখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য। তারপরও অবনতিশীল পরিস্থিতি মেকাবেলায় সরকার সামর্থ্যরে সকল শক্তি উজাড় করে দিতে প্রস্তুত।তিনি গতকাল নগরীর বাগমনিরাম ওয়ার্ড, পাহাড়তলী ওয়ার্ড ও চান্দগাঁও ওয়ার্ডে করোনায় বিপন্ন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত নগদ অর্থ ও প্যাকেটকৃত খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনার ছোবলে থাকা বাংলাদেশ প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেও দ্বিতীয় ঢেউ আরও বড় বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই, সাহস না হারিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি সঞ্চয় করতে পারলেই আমরা অবশ্যই বিজয়ী হবো।
তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, শুধুমাত্র সরকারি সাহায্য ও ত্রাণ দিয়ে শতভাগ নির্ভরতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই যার যা সামর্থ্য ও সক্ষমতা রয়েছে তা জনকল্যাণে উজাড় করে দিতে হবে। বিত্তবান শ্রেণিকে অবশ্যই এ দায়িত্ব পালন করতে হবে। কেননা তাদের বিত্তের মধ্যে গরীবের হক আছে। এ হক আদায় ধর্মীয় ও মানবিক কর্তব্য। তাই সাময়িক কিছু জনদুর্ভোগ হচ্ছে। এটা মেনে নিতে হবে।
পৃথক পৃথকভাবে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. এসরারুল হক, চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পপাদক সাইফুল আলম বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মনসুর, মাহফুজর রহমান মানিক, মো. আবুল হাশেম শাহ, মো. হায়দার আলী, সালাম জাগিরদার, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, মো. মহিউদ্দিন, দিদারুল আলম খোকন, মো. মনসুর প্রমুখ।
Discussion about this post