নিজস্ব প্রতিবেদকঃ০৮আগস্ট
নগরীর পতেঙ্গা মাইজপাড়ায় দীর্ঘ জলাবদ্ধতার কোন উদ্যোগ নেই….! এভাবে আর কতোদিন চলবে বা জনগণ হাটু থেকে কোমর পানি মাড়িয়ে চলাচল আর কতো বছর করবে তা জানতে চেয়েছেন গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে।
পতেঙ্গা থানাধীন ৪০-৪১নং ওয়ার্ডের মাঝা-মাঝি মাইজপাড়া(হযরত নুর হোসেন শাহ(র:) ) মাজার সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি ওজোয়ারের পানি নিচে নামার কোন সু-ব্যবস্থা নেই বল্লেও চলে।
বিগত ৭/৮দিন যাবত ঐস্থানে হাটু সমান পানি এখনো(০৮/০৮/২০২১ইং) দুপুর ১২টা পর্যন্ত দৃশ্যমান দেখে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা গেছে এর দূর্রাবস্তার কথা।
তারা জানান, সব এলাকার উন্নয়ন হলেও এই মাইজপাড়া অংশের কোন কাজে হচ্ছে বলে মনে হয় না, বিগত কয়েক মাসেও তারা চসিকের সেবক , কিংবা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন বিভাগের কোন কর্মী কে তারা দেখন নি।
ফলশ্রুতিতে সামন্য বৃষ্টি আর প্রবল জোয়ারের পানি ৫-৭দিন পর্যন্ত জমে তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে এলাকার নিচু অংশ প্রায় সব ঘরবাড়ীতে বৃষ্টির পানি জমে নানান রোগ দিচ্ছে। আবার অনেক বাসিন্দা জানান, দুটি ওয়ার্ডের মাঝা-মাঝি হওয়াতে কোন জনপ্রতিনিধিই এই মাইজ পাড়ার উন্নয়ন করছেন না । রবিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে-নালা,ড্রেন,সড়ক আর পুকুর জলে একাকার হয়ে আছে পুরো বিশাল এলাকা জুড়ে।
এদিকে একই অবস্থা দেখা গেছে, পূর্বকাটগর থেকে শফি হাজী বাড়ী পর্র্যন্ত ড্রেনের ময়লা পানি আর দোকান-বাসাবড়ী ওঘরের আবর্জনা জমে বৃষ্টির পানি সড়কের উপর গড়াচ্ছে।
পুরাতন কন্ট্রোলের মোড় থেকে মধ্যম পতেঙ্গার ওয়ার্ড অফিস এলাকার আশ-পাশে বৃষ্টির পানি জমে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত জলরব থাকে বলে নাম প্রকাশ অনচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন।
বেশ কয়েকজন পথচারী ও এলাকার মহিলা বাসিন্দা জানাই, ভোটের সময় প্রার্থীদের জোর করেও এই সমস্যার কথা বল্লেও তারা ভোটের পর সব ভুলে গিয়ে আমাদের সামন্য বৃষ্টির পানিতে কষ্ট দিচ্ছেন।
এই বিষয়ে চসিকের পরিচ্ছন্ন সুপার ভাইজার বলেন, অতি বৃষ্টি আর লকডাউন পরিস্থিতীর জন্য আমরা কাজে কম যাচ্ছি আর ঐ এলাকাতে দুটি মাঝা-মাঝি হওয়াতে উন্নয়ন কাজে কাউন্সিলরদের সমন্বয় অতিব জরুরী বলে তিনি উচ্চ পর্যায়ে জানাবেন বলে আশ্বাস্ত করেছেন।
Discussion about this post