বিশেষ প্রতিবেদনঃ১৪আগস্ট
বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে তিনি এ দেশের মাটি ও মানুষকে গভীর ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বলেই আমরা ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।
তাঁর জন্ম না হলে এ দেশ কখনো স্বাধীন হতো না। যারা এ দেশের স্বাধীনতা কামনা করেনি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। এ ঘটনার এর মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে এক ঘৃন্যতম ও কলঙ্কময় অধ্যায় যুক্ত হয়েছিল। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের রোল মডেল। ১৪ আগস্ট শনিবার বেলা ১২টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন রিভার ভিউ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অসহায় মানুষের মাঝে রান্নাকরা খাবার বিতরণ কর্মসূচীর চতুর্থ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের নারকীয় হত্যাকান্ডের পর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কারা ছিল তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও উদ্দেশ্য হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানার কোন শেষ নেই। তিনি অত্যন্ত দুরদর্শী নেতা ছিলেন। জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব অইেশ শক্তিশালী। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা এ তিনটি শব্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।
নগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ও জেলা পুলিশের পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তারিক রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এন ইসলাম, পটিয়া থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মহিউদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য মোঃ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, পটিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রাশেদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সদস্য সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল প্রমূখ। অনুষ্ঠানে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধীন বিভিন্ন থানা কমান্ডের কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার, সহকারী কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
খাবার বিতরণের কর্মসূচী ঃ আজ ১৪ আগস্ট শনিবার দুপুরে কর্ণফুলীস্থ রিভারভিউ ক্লাব, নতুন ব্রীজ, কালামিয়া বাজার, চান্দগাঁও থানা মোড়, মেয়র গলি ও বহদ্দারহাট মোড়ে রান্নাকরা খাবার বিতরণ করা হয়।
আগামীকাল ১৫ আগস্ট রোববার জাতীয় শোক দিবসের দিন দুপুরে আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে, এক্সেস রোড, নয়াবাজার, বড়পোল, নিমতলা মোড়, স্টিল মিল বাজার, কাটগড় আজিজ চত্ত¡র। কর্মসূচী সফল করার জন্য মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ অনুরোধ জানিয়েছেন।
Discussion about this post