নিজস্ব প্রতিবেদকঃ১৪আগস্ট
গত বৃহস্পতিবার কর্ণফুলী নদীতে যাত্রীবাহী সাম্পান ডুবিতে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনের (৫০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৪ আগস্ট) ভোরে কর্ণফুলী নদীতে দুর্ঘটনাস্থলের ১০০ মিটার দক্ষিণে তার লাশ ভেসে উঠে।
সাজ্জাদ আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের বটতল এলাকার মৃত আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ঢাকা ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় ভাইয়ের বাসায় মাকে দেখতে যাওয়ার পথে কর্ণফুলী নদী পারাপারের সময় বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীবাহী একটি ইঞ্জিনচালিত সাম্পান ডুবির ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা সাজ্জাদ নিখোঁজ হন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একচি যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত সাম্পান ইছানগর যাওয়ার পথে জাহাজের ঝুলন্ত রশির সঙ্গে আটকে সাম্পানটি ডুবে যায়। পরে আশপাশের অন্যান্য নৌ-যানের সহযোগিতায় মাঝিসহ যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার হওয়া যাত্রী লায়লা বেগমকে (৫০) নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে সাজ্জাদের নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া না গেলেও পরে সিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। তার সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। রাত ৩টার দিকে কর্ণফুলী নদীতে দুর্ঘটনাস্থলের ১০০ মিটার দক্ষিণে তার লাশ ভেসে উঠলে পুলিশে সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়।
মৃত ব্যাংক কর্মকর্তার ভাই ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘আমরা রাত ৩টার দিকে নদীতে আমার ভাইয়ের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে নৌ-পুলিশকে জানাই। পরে তাদের সহায়তায় মরদেহ তীরে আনি।’
সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিউটন চৌধুরী জানান, সাম্পান ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Discussion about this post