মুঃবাবুল হোসেন বাবলা::১৮আগস্ট,চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) চট্রগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম দ্রুততরকরণ এবং শিল্পকে অতিরিক্ত খরচের কবল থেকে রক্ষা করতে বেসরকারি আইসিডি’র পরিবর্তে চট্রগ্রাম বন্দর থেকে খালাসের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে। গতকাল১৭ আগষ্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম. শাহজাহান এর সাথে সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ আনুরোধ জানান।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্বের নানা দেশ থেকে আমদানি করা কাঁচামালবাহী কন্টেইনার বন্দরের ইয়ার্ড থেকে খালাস করতে পোশাক মালিকদের পূর্বে সময় লাগতো ২ দিন। বর্তমানে বেসরকারি আইসিডিগুলো থেকে সেই কন্টেইনার খালাসে ৬ – ৭ দিন সময় লাগছে । এই বিলম্বের কারনে পোশাক উদ্যোক্তাদেরকে আর্থিক মাশুল দিতে হচ্ছে। বেসরকারি আইসিডি’তে প্রতি কন্টেইনারের জন্য যে পরিমান অর্থ আদায় করা হচ্ছে, তা বন্দরের তুলনায় কয়েক গুন বেশি। পোশাক শিল্প যখন কোভিড-১৯ মাহামারির প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রামে লিপ্ত, তখন বন্দরে আমদানি পণ্য খালাসে এ অতিরিক্ত সময় ও বাড়তি চার্জ আদায় শিল্পের স্বাভাবিক গতিকে ব্যাহত করছে।
বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন ,আসন্ন মাস গুলোতে পোশাক রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তারা আশা করছেন। বিষয়টিকে সামনে রেখে বন্দরের সামর্থ্য বৃদ্ধির যথাযথ পরিকল্পনা প্রনয়ণ করে পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধও তিনি জানান।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন,কোভিড-১৯ মহামারি কালীন বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার প্রেক্ষিতে আর্ন্তজাতিক বাজারে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদন করছে। সভায় তিনি বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ’লক্ষ্যে বিজিএমইএ-সহ সকল ষ্টেক-হোল্ডারদের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য যে, পোশাক শিল্পে রপ্তানি ও আমদানি পণ্যের জাহাজীকরণ নির্বিঘ্নে ও সময়সাশ্রয়ী করার জন্য বিজিএমইএ এর গৃহীত উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আজকের এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক তানভীর আহমেদ, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, হারুন অর রশিদ, নাভিদুল হক, রাজীব চৌধুরী, মোঃ ইমরানুর রহমান, মোঃ এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, মোঃ হাসান (জ্যাকি), এম, এহসানুল হক, মোহাম্মদ মিরাজ-ই-মোস্তফা (কায়সার), সাবেক ১ম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক ১ম সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), সাবেক পরিচালক ও কাস্টমস (সমুদ্র) বিষয়ক বিজিএমইএ এর স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক পরিচালক ও কাস্টম (বন্ড) বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে সদস্য (প্রশাসন) মোঃ জাফর আলম, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সচিব মোঃ ওমর ফারুক, পরিচালক পরিবহন এনামুল করিম, টার্মিনাল ম্যানেজার মোঃ কুদরত-ই-খুদা মিল্লাত প্রমুখ।
Discussion about this post