চিকিৎসার নামে প্রতারণা-মাইলের মাথা এলাকায় ২ ভুয়া ডাক্তার কে আটক করেছে র‌্যাব-৭

বিশেষ প্রতিবেদনঃ১৮আগস্ট, চট্টগ্রাম

নগরীর বন্দর থানাধীন মাইলের মাথা এলাকা থেকে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়ধারী ২ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।তারা হলেন-চট্টগ্রাম পটিয়া উপজেলার মৃত পরিমল চৌধুরীর ছেলে যীশু চৌধুরী (৪৪) ও নোয়াখালী- জোরারগঞ্জ থানার গোবিন্দুপর গ্রামের সুনীল চন্দ্র মজুমদারের ছেলে আশীষ মজুমদার (৩৮)।   

গত ১৬ আগস্ট সোমবার  সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক(মিডিয়া-অফিসার) মো. নুরুল আবছার জানান, বন্দর থানার মাইলের মাথা এলাকায় সিফাত মেডিকেল হল নামের ফার্মেসি এবং শাহ আব্দুল মালেক মেডিকেল নামের চেম্বারে যীশু চৌধুরী ও আশীষ মজুমদার নামে দুই ব্যক্তি ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়ে চেম্বার খুলে চিকিৎসার নামে রোগীদের সাথে প্রতারণা করছে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৬ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভুয়া ডাক্তার বলে স্বীকার করেন। পরে তাদের ফার্মেসি এবং চেম্বার তল্লাশি করে বিভিন্ন ধরনের ভুয়া ডাক্তারি সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে বন্দর ইপিজেড-পতেঙ্গা থানা এলাকায় আরো একাধিক চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে এমবিবিএস ডাক্তার না হয়েও চিকিৎসা পত্র/ ব্যবস্থাপনাপত্র  দিয়ে অহরহ নিরীহ জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে।

এই জাতিও একাধিক ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়ধারীদের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৭ সহ আইনশৃংখলাবাহিনীর স্বক্রিয় অভিযানে আটক হবার পরে কিছুদিন থেমে গিয়ে এই করোনায় আবারো সুযোগ বুঝে নামে-বেনামে ও স্বনামে চেম্বার-ফার্মেসী খুলে রীতি মতো জালকাজ কারবার দিব্য করে যাচ্ছে স্থানীয় চিকিৎসক সমিতি/সংগঠন ব্যানারে সদস্য হিসেবে।

আবার এই সংগঠন গুলোতে  একাধিক রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় তো আছেই। এসব কারণে নিরীহ জন-সাধারণ প্রতিনিয়তই এমন কঠিন সময়েও প্রতারণা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন অফিস ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের নজরে আসলেও তারা সময় মতো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ফলে অনৈতিক-অসামাজিক কর্মকান্ড ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়ে ঘটাচ্ছে।

এছাড়া এদের মধ্যে অনেকে সাংবাদিক, ফার্মাসিস্ট, স্বাস্থ্য সহকারী, ইপিআই কর্মী এবং পল্লি চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ড্রাগ লাইসেন্স,টিএনআই, ট্রেড লাইসেন্স এবং জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিসিভ কপি নিয়ে প্রতারণা মূলক অনুমোদন আছে বলে ডাক্তারী চেম্বার ও চিকিৎসা পত্র/ ব্যবস্থাপনাপত্র দিয়ে নিরীহ রোগিদের কাছ থেকে৩০০-৫০০টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এরা আবার অনুমোদন হীন ডায়গোনেস্টিক সেন্টার/ মিনি ক্লিনিকে রোগি রেফার দেখিয়ে ও মোটা অংকের উৎকোচ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি জনগুরুত্ব ভেবে আইনানুক ব্যবস্থাগ্রহন জরুরী বলে মনে করছেন ভুক্তভোগিরা।